
ইউরোপে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে সেনজেন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সীমান্তে নতুন করে চেকপোস্ট চালু করেছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুক্ত চলাচল নীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
জার্মানি, অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়া, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্ক; এদেশগুলো অভ্যন্তরীণ সীমান্তে অস্থায়ী নিরাপত্তা চেক কার্যকর করেছে। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেছেন, “অনিয়মিত অভিবাসন রুখতে আমাদের আরো কঠোর হতে হচ্ছে।” অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়া ও ইতালি সন্ত্রাসবাদ ও মানব পাচার ঠেকানোর উদ্দেশ্যে চেকপোস্ট চালু করেছে। ফ্রান্স ও ডেনমার্ক গাজা সংঘাত এবং রাশিয়ার গোয়েন্দা তৎপরতা রোধে সীমান্ত পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে।
পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া জার্মানির উদ্যোগের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক আপত্তি তুলেছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একে “অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছেন। ইউরোপীয় কমিশন সমন্বিত নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, একক সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
সেনজেন চুক্তির মূল দৃষ্টিভঙ্গি হলো ইউরোপের অভ্যন্তরে মুক্ত চলাচল বর্তমানে নিরাপত্তা ও অভিবাসন সংকটে চ্যালেঞ্জের মুখে। এই পরিস্থিতি ইউরোপে অভিবাসন-সংক্রান্ত নীতির গতি ও দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুন মোড় এনে দিতে পারে।
তথ্যসূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস