
মক্কার হেরা সাংস্কৃতিক জেলায় পবিত্র কোরআন জাদুঘর উদ্বোধন করেছেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মিশআল বিন আবদুল আজিজ। রাজকীয় কমিশন ফর মক্কা সিটি এবং পবিত্র স্থানগুলোর তত্ত্বাবধানে এবং সহায়তায় নির্মিত এই জাদুঘরটি কোরআনকে মুসলমানদের জন্য প্রধান দিকনির্দেশনা হিসেবে উপস্থাপন করে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জাদুঘরে বিরল পাণ্ডুলিপি, কোরআনের ঐতিহাসিক কপিসহ বিভিন্ন ইন্টারেক্টিভ প্রদর্শনী রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য কোরআনের লিপিবদ্ধকরণ ও সংরক্ষণের ঐতিহাসিক যাত্রা অন্বেষণের সুযোগ করে দেয়।
হেরা সাংস্কৃতিক জেলাপ্রায় ৬৭,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হেরা সাংস্কৃতিক জেলা মক্কার ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি অনুভব করতে আগ্রহীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি ঐতিহাসিক জাবাল আন-নূর বা হেরা পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যেখানে নবী মুহাম্মাদ (সা.) প্রথম ওহি লাভ করেছিলেন। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষামূলক সুবিধা।
এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ওহি প্রদর্শনী, যা ওহির অবতরণের ইন্টারেক্টিভ বর্ণনা প্রদান করে। দর্শনার্থীদের জন্য হেরা গুহায় আরোহণের সুযোগও রয়েছে, যেখানে মহানবী (সা.) ধ্যানমগ্ন থাকতেন এবং প্রথম ওহি লাভ করেছিলেন।
ঐতিহাসিক নিদর্শন জাদুঘরের সংগ্রহশালায় রয়েছে ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর হাতের লেখা কোরআনের পাণ্ডুলিপির অনুলিপি এবং বিভিন্ন প্রাচীন শিলালিপিতে খোদাই করা কোরআনের আয়াত।
এই প্রকল্পের আওতায় সৌদি কফি জাদুঘর, সাংস্কৃতিক গ্রন্থাগার ও হেরা পার্ক-ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে।
রমজান মাসজুড়ে খোলা থাকবে জাদুঘরআগামী রমজান মাসজুড়ে এই পবিত্র কোরআন জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে, যেখানে মুসলিম উম্মাহ কোরআনের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ -০৫.০৩.২০২৫