বাহরাইন সরকার জানিয়েছে, তারা অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করছে। গত দুই বছরে দেশটিতে একাধিক অভিযান চালিয়ে অননুমোদিত চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জলিলা আল সাইয়্যদ জানিয়েছেন, মোট ৫৬ জন ব্যক্তি বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই স্বাস্থ্যসেবা পেশায় যুক্ত ছিলেন। এছাড়া আটটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই চিকিৎসা ও সৌন্দর্যসেবা প্রদান করছিল।

মন্ত্রী বলেন, এসব অবৈধ কার্যক্রম জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছিল। তাই সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্যসেবা খাতে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি চলছে। জনগণের আস্থা বজায় রাখতে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাহরাইন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকার বলেছে, চিকিৎসা খাতের মান উন্নয়ন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এ জন্য নিয়মিতভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক করেছে, তারা যেন শুধু অনুমোদিত চিকিৎসক ও নিবন্ধিত ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করেন। অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রমে জড়িতদের কারণে রোগীরা বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাহরাইন সরকার স্বাস্থ্য খাতে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।