বাহরাইন

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু সেক্টর উন্মুক্ত করল বাহরাইন

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাহরাইনে বিনিয়োগের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরকারি-বেসরকারি পোর্ট পরিচালনা, কনসালটেশন সার্ভিসের মতো সেক্টর উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন আদেল ফাখরু। তিনি আরো জানিয়েছেন, কেবলমাত্র যোগ্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই এসব সেক্টরে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে, যারা সব পক্ষের সুবিধা ও স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।

দ্য ডেইলি ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, বাহরাইন সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। দেশটির সরকারের আশা, তাতে বিদেশি নামিদামি কোম্পানি আকৃষ্ট হবে, বাহরাইনি জনগণের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই ব্যবস্থায় বিনিয়োগকারীদেরও যথাযথ সুরক্ষার নিশ্চয়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাহরাইনের বাণিজ্যমন্ত্রী।

কুয়েত

কাজ না করে ১০ বছর বেতন নিচ্ছিলেন এক কুয়েতি

কুয়েতে এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ১০ বছর কাজে না গিয়েও বেতন নেওয়ার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দেশটির হাইকোর্ট সেই কর্মচারীকে ৫ বছরের জেল দিয়েছে। একই সাথে ১০ বছর ধরে নেওয়া বেতন সুদে আসলে ৩ লাখ ১২ হাজার কুয়েতি দিনার ফেরতও দিতে বলেছে আদালত। গালফ নিউজের খবরে উঠে এসেছে এই তথ্য। আদালতের রেকর্ডে জানা যায়, সেই কর্মচারী সিটিজেন সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের কর্মচারী ছিলেন, কাজ না করে কেবল বেতন নিতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপ ও অনৈতিক পথে সরকারি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলা হয়। কাজ না করে বছরের পর বছর এভাবে বেতন নেওয়ার বিষয়টিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে কুয়েতে। 

সৌদি আরব

নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা সৌদি আরবের

সৌদি আরব কিং সালমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বছরে চার কোটি যাত্রী ধারণক্ষমতার নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সৌদি সরকার মনে করছে, নতুন টার্মিনালটি রিয়াদকে বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলের হাব হিসেবে নতুন করে পরিচিত করাবে। গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, নতুন সর্ববৃহৎ এই টার্মিনালের কাজ শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। 

উচ্চাভিলাষী এই মাস্টারপ্ল্যানে আছে ছয়টি রানওয়ে বিশিষ্ট একটি মেগাহাব, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে এই টার্মিনাল বছরে ১২ কোটি মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। সৌদি সরকারের আশা, তখন সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম ব্যবসা ও পর্যটনের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। এসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রবাসী বাংলাদেশিরও কাজের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে। দেশটিতে বর্তমানে কাজ করে ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি, যারা সৌদির এমন উন্নয়ন কাজে সরাসরি নিযুক্ত রয়েছেন।