বাহরাইন

ক্যাফে, ওয়ার্কশপে ওয়ার্কিং আওয়ার নিয়ে নতুন রুল

বাহরাইনের দক্ষিণাঞ্চলের মিউনিসিপ্যালিটি কাউন্সিল আবাসিক এলাকায় শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং আওয়ার নির্ধারণ করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও সাধারণ দোকান রাত ১২টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। আর গ্যারেজ, ওয়ার্কশপ ও সার্ভিস সেন্টারগুলো খোলা রাখা যাবে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত। তবে জরুরি সেবা যেমন ফার্মেসি এই সীমার বাইরে থাকবে। দ্য ডেইলি ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।

কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ বৌবশাইত জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য হলো আবাসিক এলাকায় ট্রাফিক জ্যাম, শব্দদূষণ ও এলোমেলো পরিবেশ কমিয়ে শৃঙ্খলায় আনা এবং বাসিন্দাদের শান্তি নিশ্চিত করা। এই সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, সময়সীমা নির্ধারণের মাধ্যমে এলাকাগুলোর পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হবে।

নতুন এই নিয়মগুলো বাস্তবায়িত হলে আবাসিক এলাকার ব্যবসা ও শপিং কার্যক্রমে নিয়মশৃঙ্খলা আসবে এবং স্থানীয়দের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে। এমন নিয়ম সম্পর্কে জানা ও মিউনিসিপ্যালিটির রুল মানা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  

কুয়েত

কুয়েতে নকল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান

কুয়েতে নকল পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকালে প্রায় ৩ হাজার ৬০২টি নকল পণ্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পোশাক, ব্যাগ, জুতা এবং নারী সাজ‑সজ্জার বিভিন্ন আইটেম, যেগুলো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি করা হচ্ছিল। আরব টাইমস এ খবর দিয়েছে।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট দোকানগুলোতে জরুরি নোটিশ দেওয়া হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় আরো জানায়, এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালিয়ে বাজারে নকল পণ্য বিক্রি বন্ধ করা এবং ভোক্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কুয়েত সরকার চায় দেশটির বাজারে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা। 

সৌদি আরব

এক মাসে মক্কা-মদিনায় রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লি

জমাদিউল আউয়াল মাসে সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদ মক্কা ও মদিনায় ৬৬ মিলিয়নেরও বেশি মুসল্লি ইবাদতে অংশ নিয়েছেন। মক্কা শরিফে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ২৬ মিলিয়ন মুসল্লি। আর মদিনা শরিফে প্রায় ২৩ মিলিয়ন মুসল্লি মসজিদে নববিতে উপস্থিত থেকে রাওজাহ শরিফসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রার্থনা করেছেন। সৌদি গেজেট এ খবর দিয়েছে। 

এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা করোনার পর থেকে দুই মসজিদে মুসল্লির উপস্থিতির নতুন রেকর্ড গড়েছে। দুই পবিত্র মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুসল্লিদের প্রবেশ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যাতে সবাই নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে ইবাদত করতে পারেন। ব্যবস্থাপনা উন্নত হওয়া ও ভিসা-সংক্রান্ত সুবিধা যুক্ত হওয়ায় সারা পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ভিড় করছেন এই পবিত্র দুই মসজিদে।