বাহরাইনে ভিজিট ভিসা থেকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তরের সংখ্যা এ বছর ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত বছরের তুলনায় এ হার ৯২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির আইনবিষয়ক মন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত শ্রমমন্ত্রী ইউসুফ খালাফ।  

তিনি জানিয়েছেন, সংসদের তদন্ত কমিটি গত বছর প্রায় ৩৭ হাজার ভিজিট ভিসা রূপান্তরের ঘটনা খুঁজে পেয়েছিল। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজারের বেশি। তখন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর এ সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।  

মন্ত্রী বলেন, ভিজিট ভিসাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর করা অনেক সময় শ্রমবাজারে চাপ সৃষ্টি করে। কারণ, ভিজিট ভিসায় আসা ব্যক্তিরা মূলত পর্যটন বা স্বল্পমেয়াদি কাজে আসেন। কিন্তু তারা যখন কাজের ভিসায় রূপান্তরিত হন, তখন শ্রমবাজারে অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা তৈরি হয়।  

বাহরাইন সরকার গত কয়েক বছর ধরে শ্রমবাজারকে সুশৃঙ্খল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে অবৈধভাবে কাজ করা বিদেশিদের সংখ্যা কমাতে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে ভিজিট ভিসা থেকে কাজের ভিসায় রূপান্তরের সংখ্যা কমে গেছে।  

সংসদীয় তদন্ত কমিটি বলেছে, অতীতে বিপুল সংখ্যক ভিজিট ভিসা রূপান্তরের কারণে শ্রমবাজারে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছিল। অনেকেই ভিজিট ভিসায় এসে কাজ শুরু করতেন, যা আইনগতভাবে সঠিক নয়। সরকার এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।  

মন্ত্রী ইউসুফ খালাফ জানিয়েছেন, শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার আরো পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ভিজিট ভিসার মূল উদ্দেশ্য হলো পর্যটন ও স্বল্পমেয়াদি সফর। এটি কাজের ভিসায় রূপান্তরিত হলে শ্রমনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।  

বাহরাইন সরকার শ্রমবাজারে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ বাড়াতে চাইছে। এ জন্য বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে। ভিজিট ভিসা রূপান্তর কমে যাওয়ায় শ্রমবাজারে নিয়ন্ত্রণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।