ওমান

ওমানের আকাশে ভাসছে অগ্ন্যুৎপাত গ্যাসের মেঘ

১২ হাজার বছর পর অনেকটা আকস্মিকাবে ইথিওপিয়ায় হাইলে গোবির আগ্নেয়গিরির হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। যার ফলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস এবং ভলকানিক ছাই বাতাসে ছড়িয়েছে। এই গ্যাসের মেঘ এখন ওমান, ইয়েমেন এবং আশপাশের আরব উপদ্বীপের আকাশে দেখা যাচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, অগ্ন্যুৎপাতের পর সালফার ডাই-অক্সাইডের ধোঁয়ার মেঘ ১০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা আঞ্চলিক পরিবেশ ও আকাশপথে প্রভাব ফেলতে পারে। গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে।

ওমানে বিমান চলাচলের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতা। কারণ ভলকানিক ছাই বিমানের ইঞ্জিন ও নেভিগেশন সিস্টেমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গ্যাসের মিশ্রণ ফুসফুস, চোখ ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া আকাশের অস্বাভাবিক রং তৈরির কারণে সম্ভাব্য অ্যাসিড বৃষ্টির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এমন সময়ে ওমানে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার কথা বলছেন প্রবাসীরা। 

সৌদি আরব

ইথিওপিয়ার অগ্ন্যুৎপাতের ছাইয়ে সৌদির বায়ুমণ্ডলে প্রভাব পড়বে না

ইথিওপিয়ার হাইলে গোবি আগ্নেয়গিরির ছাই সৌদির বায়ুমণ্ডলে পৌঁছাবে না। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র আরো নিশ্চিত করেছে, অগ্ন্যুৎপাত দেশটির বায়ুমণ্ডলে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

সৌদি আরবের নিউক্লিয়ার অ্যান্ড রেডিওলজিক্যাল রেগুলেটরি কমিশন সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব এবং মিডিয়া জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে, ইথিওপিয়ার হাইলে গোবি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ছাইতে স্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকতে পারে।

এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে কমিশন বলেছে, আগ্নেয়গিরির ছাইতে প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক উপাদান থাকতে পারে, যার মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ধুলা এবং বালিতে পাওয়া যায় এমন তেজস্ক্রিয় পদার্থও রয়েছে। তবে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, এগুলো পরিবেশ বা জননিরাপত্তার জন্য কোনো তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি করে না।

সংস্থাটির মুখপাত্র হুসেইন আল-কাহতানি বলেছেন, কেন্দ্রটি উন্নত জাতীয় ব্যবস্থা ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা মেঘের চলাচল এবং আবহাওয়ার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে। আল-কাহতানি উল্লেখ করেছে, ক্ষতিকর ঘটনা দেখা দিলে কেন্দ্রটি প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনে সতর্কতা বা আপডেট জারি করবে।

বাহরাইন

শ্রম আইন লঙ্ঘনে বাহরাইনে ৩০১ কর্মী বহিষ্কার

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত এক মাসে বাহরাইন মোট ৩০২ জনকে বহিষ্কার করেছে। দেশটির লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ২৬ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭ হাজার ৮৭৫টি অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে অবৈধ বসবাস, কাজ এবং ভিসার শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ৩০১ জনকে চিহ্নিত করে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এ সময় আরো ৭৬ জনকে বিভিন্ন যৌথ অভিযানে আইনি প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে। দ্য ডেইলি ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।

বাহরাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শ্রমবাজারকে সুরক্ষিত রাখতে এমন অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে এবং যে কোনো শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ফলে সতর্ক থাকতে হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের।  

সংযুক্ত আরব আমিরাত

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনিয়োগে সাবধান করল দুবাই পুলিশ

দুবাই পুলিশ সম্প্রতি সাধারণ জনগণকে সতর্ক করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারিত অনেক অনলাইন বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম প্রতারণামূলক এবং অবৈধ। এসব প্ল্যাটফর্ম বড় ধরনের লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে অথচ অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মেরই বৈধ লাইসেন্স নেই। গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার লোভনীয় স্কিমগুলো প্রায়ই পিরামিড স্টাইলের মতো কাজ করে, যেখানে নতুন বিনিয়োগকারীর টাকা দিয়ে পুরাতন বিনিয়োগকারীদের ক্ষুদ্র লাভ দেওয়া হয় এবং হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেসব প্ল্যাটফর্ম। এভাবেই প্রতারণার শিকার হন বিনিয়োগকারীরা। আর এসব বিনিয়োগকারীদের অনেকেই প্রবাসী কর্মী, যারা অল্প বিনিয়োগ করে অধিক লাভের আশা করে থাকেন।

তাই দুবাই পুলিশ সবাইকে বিনিয়োগ করার আগে কোম্পানির বৈধতা যাচাই করতে এবং সন্দেহজনক অফার বা বিজ্ঞাপন পুলিশের ই-ক্রাইম প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করার পরামর্শ দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, আর্থিক প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হলো সচেতন থাকা। 

কুয়েত

আমিরাত নিয়ে কটূক্তি, এক কুয়েতির কারাদণ্ড

কুয়েতের এক নাগরিককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিওতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি লাইভ ভিডিওতে এসে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করে, যা কুয়েতের কূটনৈতিক সম্পর্কের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার দায়ে অভিযুক্ত হয়। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করে। কুয়েতি আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন বছর কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি আবারো প্রমাণ করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ করে এমন যে কোনো মন্তব্য আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এ বিষয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সচেতন থাকা আবশ্যক।