বাহরাইন

বাহরাইনের বিমানবন্দরে বেড়েছে যাত্রীদের চলাচল

শীতের বাতাস বইতে শুরু করার পর থেকেই বাহরাইনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী চলাচল বেড়ে গেছে। অক্টোবর মাস থেকেই যাত্রী বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে, গত এক মাসে বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৮১ জন যাত্রী, যা আগের মাসের তুলনায় ১১ শতাংশের বেশি। ফলে বেড়েছে বিমানের চলাচল। শুধু অক্টোবরেই বিমানবন্দরে ৮ হাজার ৫৩২টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। দ্য ডেইলি ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে।

তবে শুধু টার্মিনাল কার্যক্রম নয়, বাহরাইনের আকাশপথও ছিল অত্যন্ত ব্যস্ত। অক্টোবর মাসে ৪৬ হাজার ৬৭৫টি বিমান দেশটির এয়ারস্পেস অতিক্রম করেছে, যা বিমান চলাচলের কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়মিত ভ্রমণ বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রসার এবং আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণই যাত্রী ও ফ্লাইট বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ, যা বাহরাইনের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কুয়েত

কুয়েতে প্রবাসীদের জন্য সুখবর: রেসিডেন্সি সুবিধার নতুন নিয়ম

কুয়েতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এটি হতে পারে দারুণ সুখবর। দেশটির সরকারের নতুন অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈধ প্রবাসীরা এখন থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ৫ থেকে ১৫ বছরের রেসিডেন্সি সুবিধ পাবেন।

সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, দেশটিতে বসবাসকারী সাধারণ প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ৫ বছরের রেসিডেন্সি নবায়ন করতে পারবেন। একই সঙ্গে তাদের কুয়েতে জন্ম নেওয়া সন্তান বা দেশটিতে নিজস্ব সম্পত্তির মালিক, তারা নবায়ন করতে পারবেন ১০ বছরের জন্য। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের রেসিডেন্সি সুবিধা। আরব টাইমস এ খবর দিয়েছে।

কুয়েতের নতুন ইমিগ্রেশন নীতির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো দীর্ঘমেয়াদি থাকার এই সুযোগ দেশটিতে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সাথে কুয়েতে থাকা সাড়ে তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও নানামুখী সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি রেসিডেন্সি প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবীমায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা প্রবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কুয়েতের এই সিদ্ধান্তকে দেখা হচ্ছে শ্রমবাজার ও বিনিয়োগের পরিবেশ স্থিতিশীল করার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে।

সৌদি আরব

সৌদিতে রাস্তা থেকে যাত্রী তোলায় হাজারের বেশি আটক

সৌদি আরবে অবৈধ যাত্রী পরিবহনের দায়ে ১ হাজার ৩৪৯ জনকে আটক করেছে দেশটির ট্রান্সপোর্ট অথরিটি। এর মধ্যে ৭২৩ জন অনুমতি ছাড়া রাস্তা থেকে যাত্রী তুলে, আর ৬২৬ জন ব্যক্তিগত গাড়িকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে ধরা পড়েন। সৌদি গেজেট এ খবর দিয়েছে।

অভিযানে বিপুল সংখ্যক গাড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং অপরাধের ধরন অনুযায়ী কঠোর জরিমানা আরোপ করা হচ্ছে। আর এমন অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তি বাড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আটককৃত ড্রাইভার বা যাত্রীদের জাতীয়তা জানানো হয়নি। এমন হুঁশিয়ারি দেশটিতে থাকা ৩২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

সৌদির ট্রান্সপোর্ট জেনারেল অথরিটি বলেছে, যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটিতে যাত্রী পরিবহনের জন্য যানবাহন ও ড্রাইভারদের লাইসেন্স লাগে। লাইসেন্স ছাড়া এমন যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। দেশটির পরিবহন খাতকে আরো শৃঙ্খলায় আনতে এমন অভিযান  চলমান থাকবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত

পাবলিক চার্জিং পোর্ট থেকেই চুরি হচ্ছে ফোনের পাসওয়ার্ড

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল সতর্ক করেছে, পাবলিক চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করেই ৭৯% ভ্রমণকারী নিজের অজান্তেই সাইবার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন। কাউন্সিল জানিয়েছে, কিছু পাবলিক চার্জিং পোর্টে ম্যালওয়্যার লুকানো থাকে, যা ব্যবহারকারীর ফোনে সংযোগ করলে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন পাসওয়ার্ড, ছবি এবং অন্যান্য ডেটা চুরি করতে পারে। গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে।

ফোনের ব্যাটারিরর চার্জ যদি বিনা ব্যবহারে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে, যদি বারবার সিস্টেম ক্র্যাশ হতে থাকে, অচেনা নটিফিকেশন দেখায় ফোনে তবে বুঝে নিতে হবে ফোনের সিস্টেম হ্যাক হয়েছে। এসবই সাইবার ঝুঁকির লক্ষণ।

এই ঝুঁকি এড়াতে নিজস্ব চার্জার ব্যবহার করা, পাবলিক চার্জিং স্টেশন ফোন চার্জ না করা, চার্জিং চলাকালে ডেটা ট্রান্সফার এড়ানো, টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস রিকগনিশন ব্যবহার করা। আমিরাতের সাইবার কাউন্সিল মনে করে, একটু সতর্ক হলেই প্রবাসী আর নাগরিকরা এমন সাইবার ঝুঁকি এড়াতে পারেন।