বিশ্বের অনেক দেশেই নদী রয়েছে, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো ১৮টি স্বাধীন রাষ্ট্রে কোনো স্থায়ী নদী নেই। এসব দেশ ভূগর্ভস্থ পানি, বৃষ্টির পানি বা সমুদ্রের পানি পরিশোধন করে জীবনধারণ করে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
নদীহীন দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে:
সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমান, ইয়েমেন, লিবিয়া, জিবুতি, মালদ্বীপ, মাল্টা, মোনাকো, ভ্যাটিকান সিটি, নাউরু, কিরিবাতি, টুভালু, মার্শাল আইল্যান্ডস এবং টোঙ্গা।
সৌদি আরব সবচেয়ে পরিচিত নদীহীন দেশ। একসময় সেখানে প্রাচীন নদী ছিল, কিন্তু এখন কোনো স্থায়ী নদী নেই। দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সমুদ্রের পানি পরিশোধন কেন্দ্র পরিচালনা করে, যা শহর, কৃষি ও শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টির সময় অস্থায়ী নদীখাত বা ওয়াদি তৈরি হয়, যা দ্রুত শুকিয়ে যায়।
মালদ্বীপ মূলত বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে এবং সমুদ্রের পানি থেকে মিষ্টি পানি তৈরি করে। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির উৎস দূষিত হচ্ছে।
কাতার তার পানির বেশির ভাগ অংশ আমদানি করে এবং ডেসালিনেশন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
বাহরাইন একসময় প্রাকৃতিক ঝর্ণার ওপর নির্ভর করত, কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার ও সমুদ্রের লবণাক্ততা সেই উৎস কমিয়ে দিয়েছে।
মাল্টা ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জে নদী গঠনের মতো পর্যাপ্ত ভূমি নেই। তারা চুনাপাথরের স্তরে জমা ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে।
এই দেশগুলো প্রমাণ করেছে, প্রাকৃতিক নদী না থাকলেও প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে জীবনধারণ সম্ভব।
দুবাই, দোহা, রিয়াদের মতো শহরগুলো নদী ছাড়াই উন্নত নগরীতে পরিণত হয়েছে।
logo-1-1740906910.png)