কুয়েতের শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। দেশটির সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরা এখনো সবচেয়ে বড় কর্মী গোষ্ঠী হিসেবে রয়েছে। আরব টাইমস অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশন (PACI) জানায়, বর্তমানে দেশটিতে মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ, যার মধ্যে ২২ লাখের বেশি কর্মী বেসরকারি খাতে কাজ করছেন। ভারতীয় শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার, যা মোট বিদেশি শ্রমিকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
এরপর রয়েছে মিসরীয়, বাংলাদেশি, ফিলিপিনো ও নেপালি শ্রমিকরা। বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিষেবা, রেস্টুরেন্ট ও গৃহকর্মে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।
PACI-এর তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণও বাড়ছে। ফিলিপিনো ও ভারতীয় নারী শ্রমিকরা গৃহকর্ম, নার্সিং ও হসপিটালিটি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কুয়েতের শ্রমবাজারে এই প্রবৃদ্ধি দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে কোভিড-পরবর্তী সময়ে শ্রমিক চাহিদা বেড়েছে, যার ফলে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন, ন্যায্য মজুরি এবং কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়েত সরকারকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশি অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, কুয়েতের শ্রমবাজারে প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। তবে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, ভাষা প্রশিক্ষণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকারের উচিত আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখা।
logo-1-1740906910.png)