কুয়েতে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু আনার শর্ত কঠোর হলো
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৩
কুয়েতে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের নিয়মে নতুন সংবাদ এসেছে। বিশেষ করে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ‘ডিপেনডেন্ট ভিসা’ তে আনার ক্ষেত্রে আর্থিক যোগ্যতার শর্তগুলো কঠোরভাবে আরোপ করা হয়েছে। আরব টাইমসের সূত্র মতে, এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বেতন বিবেচনা করা হবে। ন্যূনতম বেতনের সীমা, চাকরির ধরন ও ডিগ্রির সঙ্গে কাজের সামঞ্জস্য এমনকি বেতন কম হলে আবেদন প্রত্যাখ্যানও হতে পারে বলে নির্দেশনা রয়েছে।
নিয়মে বলা হয়েছে, কোনো কেসে বেতনযুক্ত আবেদনকর্তা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে বিশেষ ছাড় বা ব্যতিক্রম পাওয়া যেতে পারে; তবে এ ধরনের ছাড় পাওয়া সহজ নয় এবং সে ক্ষেত্রে সঠিক ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক হবে।
শৈশব স্বাস্থ্যগত জটিলতা থাকলে আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে; বেসরকারি ও সরকারি স্বাস্থ্য এরপর প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণ করতে পারে এবং মেডিকেল কন্ডিশন ভিত্তিক কেসেও ভিসার ছাড় চাওয়া যায়।
আবেদনের সময় সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে বলা হয়েছে- বেতনপত্র, কাজের কন্ট্রাক্ট, নিয়োগপত্র, নিয়মিত ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আবেদনকারীর পরিবারের সম্পর্ক প্রমাণ (জন্ম সনদ, বিবাহ সনদ) ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
নিয়ম কঠোর হওয়ায় অনেকে ভেবে থাকেন ‘বেতন কম তাই ভিসা মঞ্জুর হবে না’; বাস্তবে অনুকূল ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো কেসভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেন এবং নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সুযোগ দিতে পারে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।
ভিসার প্রক্রিয়ায় প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য পেলে কড়া শাস্তির বিধান আছে। এমন পরিস্থিতিতে আবেদন বাতিল এবং প্রত্যাখ্যাত পরিবারের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঝুঁকি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ- পরিবার যুক্ত করতে চাইলে আবেদনপূরক সকল কাগজ আগে থেকে যাচাই করে রাখুন, নিয়োগকর্তার সঠিক তথ্য সুনিশ্চিত করুন এবং মেডিকেল কেস হলে অনাবিল প্রমাণ সংগ্রহ করুন, যাতে কনস্যুলার প্রক্রিয়া সহজ হয়।
কোথাও সরকারি নির্দেশ বা বিকল্প বিধান প্রযোজ্য হলে, তা আপডেট হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নোটিশ বোর্ডে বা দূতাবাসের অফিসিয়াল নোটে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; কারণ নিয়মাবলি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।
logo-1-1740906910.png)