বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ ১৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক সংলাপে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামীহ ইসা জোহার হায়াত নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে দুই দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি, উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে একমত হয়। সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি দুই বছর অন্তর এই সংলাপ ঢাকা ও কুয়েতে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিরক্ষা, প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সাইবার নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। পাশাপাশি জ্বালানি, অবকাঠামো, আইসিটি, খাদ্য নিরাপত্তা ও হালাল শিল্পে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।
কুয়েত ফান্ডের সহায়তায় চলমান প্রকল্পে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দুই দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো এবং বিমান সংযোগে সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করে। শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতেও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে মতৈক্য হয়।
রোহিঙ্গা সংকটে কুয়েতের মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। জাতিসংঘ ও ওআইসির মতো বহুপক্ষীয় ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সংলাপ শেষে একটি যৌথ সংবাদ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সফরকালে কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামীহ ইসা জোহার হায়াত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এই সংলাপ বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো গভীর ও বহুমাত্রিক করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
logo-1-1740906910.png)