সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইসলামিক ওয়াকফে (ধর্মীয় দান) অনুদান প্রদানকারীদের জন্য চালু করা হয়েছে ১০ বছরের গোল্ডেন ভিসা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইউএই বিশ্বজুড়ে দানশীল ও সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে চায়।

এই নতুন ভিসা ক্যাটাগরিটি চালু করেছে দুবাইয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স (GDRFA) এবং আওকাফ দুবাই। তাদের লক্ষ্য ইউএইকে বিশ্বব্যাপী মানবিকতা, দান ও টেকসই উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

যেসব ব্যক্তি ইসলামিক ওয়াকফে উল্লেখযোগ্য অনুদান প্রদান করবেন, তারা এই গোল্ডেন ভিসার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। ওয়াকফ বলতে বোঝায় ধর্মীয়, সামাজিক বা জনকল্যাণমূলক কাজে স্থায়ীভাবে দান করা সম্পদ বা অর্থ। এই অনুদান হতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ কিংবা দরিদ্রদের সহায়তায়।

ভিসার সুবিধা কী?

- ১০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্সি

- ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ

- পরিবারসহ বসবাসের সুবিধা

- পুনর্নবায়নযোগ্য ভিসা, যা ভবিষ্যতে আরো বাড়ানো যেতে পারে

ইউএই সরকার মনে করে, দানশীলতা শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং সামাজিক উন্নয়নের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তবে এই ক্যাটাগরিতে ভিসা পেতে গেলে অনুদানদাতাকে কমপক্ষে ২০ লাখ দিরহাম দিতে হবে ওয়াকফ বোর্ডের অনুমোদিত কোনো সংস্থাকে। একই সাথে দাতার থাকতে হবে ন্যূনতম বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি। 

এই ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক সমাজসেবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তি ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে যেসব দেশে ওয়াকফ ব্যবস্থাপনা রয়েছে, সেসব জায়গায় এই ভিসা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।