ইউএইতে অবৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ ও জরিমানা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৯
সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি অবৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা মন্ত্রণালয় (MoHESR)। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে একাধিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের ওয়েবসাইট ও অনলাইন অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যারাবিয়ান বিজনেস পত্রিকায় এ নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে।
MoHESR-এর তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু গুরুতর অনিয়ম:
- সরকারি অনুমোদন ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা
- শিক্ষার্থীদের অনুমোদনহীন কোর্সে ভর্তি
- স্বীকৃতিহীন প্রোগ্রামের প্রচার
- লাইসেন্স ছাড়া নার্সারি পরিচালনা
এছাড়া মানবসম্পদ ও এমিরাতাইজেশন মন্ত্রণালয় (MoHRE) জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি জননিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে এবং অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। এসব কারণে একযোগে কয়েকটি মন্ত্রণালয় মিলে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে:
- প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা
- জরিমানা আরোপ
- পরিচালকদের পাবলিক প্রসিকিউশনে হস্তান্তর
- ওয়েবসাইট ও অনলাইন অ্যাকাউন্ট ব্লক
- ভবিষ্যতে লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম চালালে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
MoHESR জানিয়েছে, তারা নিয়মিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান বজায় রাখা এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা।
মন্ত্রণালয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, কোনো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই তাদের লাইসেন্স ও স্বীকৃতি যাচাই করে নিতে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, ইউএই সরকার শিক্ষা খাতে কোনো ধরনের প্রতারণা বা অনিয়ম বরদাশত করছে না। শিক্ষার নামে ব্যবসা নয়; বরং স্বচ্ছতা, মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার।
এই পদক্ষেপ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়, বরং গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল ও বিশ্বাসযোগ্য রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। ইউএইতে যারা শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ খাতে কাজ করতে চান, তাদের অবশ্যই বৈধ লাইসেন্স ও অনুমোদন নিয়ে কাজ করতে হবে, না হলে আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব নয়।
logo-1-1740906910.png)