গাজা পুনর্গঠনের উদ্যোগে মুসলিম দেশগুলোর প্রশংসায় ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩৮
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর গাজা পুনর্গঠনের উদ্যোগে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩ অক্টোবর জেরুজালেমে ইসরায়েলি সংসদ ‘নেসেট’-এ ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ট্রাম্প বলেন, “অনেক বছর ধরে চলা যুদ্ধ ও বিপদের পর আজ আকাশ শান্ত, বন্দুক নীরব, সাইরেন থেমে গেছে। সূর্য উঠেছে এক পবিত্র ভূমিতে, যা এখন শান্তির পথে।” তিনি এই যুদ্ধবিরতির সময়কে “নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক সূচনা” বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, “আরব ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো একত্রিত হয়ে হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে চাপ দিয়েছে এবং তাদের ঘরে ফেরাতে সাহায্য করেছে। এটা শুধু ইসরায়েলের নয় বরং পুরো বিশ্বের জন্য এক অসাধারণ বিজয়।”
ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে এক বামপন্থি সংসদ সদস্যের প্রতিবাদের কারণে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অনুষ্ঠান বন্ধ হয়। পরে ওই সংসদ সদস্যকে বের করে দেওয়া হলে ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, “এটা বেশ দ্রুতই হলো।”
এই সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং কন্যা ইভাঙ্কা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একই অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি এই শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি ট্রাম্পকে “ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু” হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, “কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের জন্য এত কিছু করেননি।”
এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা সব জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে এবং ইসরায়েল প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো, সীমান্ত খুলে দেওয়া এবং ইসরায়েলি বাহিনীর আংশিক প্রত্যাহারও চুক্তির অংশ।
ট্রাম্প বলেন, “এই মুহূর্তটি ভঙ্গুর হলেও এটি মধ্যপ্রাচ্যকে নতুনভাবে গড়ার একটি সুযোগ। মানুষ যুদ্ধে ক্লান্ত, শান্তি চায়।”
যদিও গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা, পুনর্গঠন এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবুও এই চুক্তিকে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।
logo-1-1740906910.png)