কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশন (PACAI) প্রবাসীদের বাসা ভাড়ার তথ্য হালনাগাদে নতুন নিয়ম চালু করেছে। এই নিয়মের লক্ষ্য হলো বাসিন্দাদের সঠিক তথ্য সংরক্ষণ, অবৈধ আবাসন রোধ এবং নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
PACAI-এর নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব প্রবাসী বাসা পরিবর্তন করেছেন বা নতুনভাবে ভাড়া নিয়েছেন, তাদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাসা ভাড়ার তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। এই তথ্য না দিলে সিভিল আইডি নবায়ন বা সরকারি সেবা গ্রহণে সমস্যা হতে পারে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী:
- বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র (lease agreement) অবশ্যই PACAI-এর নির্ধারিত ফরম্যাটে জমা দিতে হবে।
- চুক্তিপত্রে বাড়ির মালিকের নাম, ঠিকানা, ভাড়াটিয়ার তথ্য এবং চুক্তির মেয়াদ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
- অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর PACAI কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে অনুমোদন দেবে।
এই নিয়মের মাধ্যমে কুয়েত সরকার প্রবাসীদের আবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে চায়। অতীতে অনেক প্রবাসী একাধিক ব্যক্তিকে একটি ঠিকানায় দেখিয়ে সিভিল আইডি নবায়ন করতেন, যা জনসংখ্যা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করত।
PACAI জানিয়েছে, নতুন নিয়মের ফলে-
- ভাড়াটিয়াদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ সহজ হবে।
- অবৈধভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাবে।
- সরকারি সেবা যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ সম্ভব হবে।
প্রবাসীদের মধ্যে এই নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি সঠিক উদ্যোগ, যা সিস্টেমকে স্বচ্ছ করবে। আবার অনেকে মনে করছেন, নিয়মটি বাস্তবায়নে জটিলতা ও সময়ক্ষেপণ হতে পারে।
কুয়েতে প্রায় ৩০ লাখ প্রবাসী বসবাস করেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তাই এই নিয়ম বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম মেনে তথ্য হালনাগাদ করলে ভবিষ্যতে সিভিল আইডি ও অন্যান্য সেবা গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।
PACAI-এর এই উদ্যোগকে কুয়েতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রবাসীদের উচিত নিয়ম মেনে দ্রুত তথ্য হালনাগাদ করা, যাতে তারা নির্বিঘ্নে কুয়েতে বসবাস ও কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।
তথ্যসূত্র: আরব টাইমস
logo-1-1740906910.png)