কাতার সরকার নতুন সিভিল সার্ভিস আইন চালু করেছে, যার আওতায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বার্ষিক বিয়ে ভাতা এবং কর্মদক্ষতা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সরকারি চাকরিকে আরো আকর্ষণীয় ও কর্মীদের জীবনমান উন্নত করা।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা বছরে ১২ হাজার কাতারি রিয়াল (প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা) পর্যন্ত বিয়ে ভাতা পাবেন। এই ভাতা বিবাহিত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য এবং তাদের পারিবারিক জীবনে আর্থিক সহায়তা দিতে চালু করা হয়েছে।
আইনে কর্মীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১৫০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, যারা দক্ষতা, নিষ্ঠা ও ফলাফলভিত্তিক কাজ করবেন, তারা অতিরিক্ত বেতন পাবেন। এটি কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও কর্মনিষ্ঠা বাড়াবে বলে মনে করছে সরকার।
নতুন আইনে কর্মীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কর্মীরা যদি কোনো সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন, তাহলে তারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন।
আইনে নারী কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া কর্মস্থলে বৈষম্য রোধে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
কাতার সরকার জানিয়েছে, এই আইন কর্মীদের মনোবল বাড়াবে, দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহ দেবে এবং সরকারি খাতকে আরো কার্যকর ও জনবান্ধব করে তুলবে। এটি ভিশন ২০৩০ এর অংশ হিসেবে কাতারের প্রশাসনিক সংস্কার পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন কাতারে সরকারি চাকরিকে আরো প্রতিযোগিতামূলক ও সম্মানজনক করে তুলবে। বিশেষ করে তরুণ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সরকারি খাতে আকৃষ্ট করতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া বেসরকারি খাতে কর্ম পরিবেশ উন্নয়নেও এ আইনের প্রভাব পড়বে।
তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ
logo-1-1740906910.png)