কুয়েতি আইন অনুযায়ী আত্মীয়তার সম্পর্ককে দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি। এই শ্রেণিবিভাগ বিভিন্ন আইনি সুবিধা, দায়িত্ব ও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে নাগরিকত্ব, অভিবাসন, উত্তরাধিকার, পারিবারিক মামলা এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই শ্রেণিবিভাগ কার্যকর হয়।
প্রথম শ্রেণির আত্মীয় বলতে বোঝানো হয়, যারা রক্তের সম্পর্ক অনুযায়ী সরাসরি সংযুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে:
- বাবা-মা
- সন্তান (ছেলে-মেয়ে)
- স্বামী/স্ত্রী
এই শ্রেণির আত্মীয়দের ক্ষেত্রে আইনি দায়-দায়িত্ব, উত্তরাধিকার, অভিভাবকত্ব এবং জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যেমন, হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা সিদ্ধান্তে প্রথম শ্রেণির আত্মীয়র মতামত গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয় শ্রেণির আত্মীয় কারা? দ্বিতীয় শ্রেণির আত্মীয়রা হলেন যারা রক্তের সম্পর্ক অনুযায়ী কিছুটা দূরবর্তী হলেও পারিবারিক সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ভাই-বোন
- দাদা-দাদি, নানা-নানি
- নাতি-নাতনি
- চাচা, মামা, খালা, ফুফু
এই শ্রেণির আত্মীয়রা সাধারণত আইনি সুবিধায় দ্বিতীয় স্তরে থাকেন। যেমন, উত্তরাধিকার বা অভিভাবকত্বে তাদের ভূমিকা সীমিত, তবে প্রয়োজনে বিবেচনায় আনা হয়।
আইনি প্রভাব ও প্রয়োগ কুয়েতি আইনে আত্মীয়তার এই শ্রেণিবিভাগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়:
- নাগরিকত্বের আবেদন
- পারিবারিক ভিসা
- উত্তরাধিকার আইন
- সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার
- পারিবারিক সহিংসতা বা বিবাদে আইনি সহায়তা
কুয়েতে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পারিবারিক ভিসা বা নাগরিকত্বের আবেদন করতে হলে আত্মীয়তার শ্রেণি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম শ্রেণির আত্মীয়দের জন্য সুযোগ বেশি, দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে তা সীমিত।
আইনি জটিলতা এড়াতে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের উচিত আত্মীয়তার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা।
তথ্যসূত্র: আরব টাইমস অনলাইন
logo-1-1740906910.png)