মধ্যপ্রাচ্যের নিউজ আপডেট ৫ অক্টোবর ২০২৫
জিসিসি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪০
আরব আমিরাত
জিসিসি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে
জিসিসিভুক্ত দেশগুলো যৌথভাবে চালু করতে যাচ্ছে একক পর্যটন ভিসা ব্যবস্থা, যা ২০২৫ সালের শেষ দিকে পাইলট পর্যায়ে চালু করা হবে। গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা নামে এই নতুন ভিসা সেনজেন ভিসার আদলে তৈরি, যার মাধ্যমে পর্যটকরা একবার ভিসা নিলেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইন; এই ছয়টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থ ও পর্যটনমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি জানিয়েছেন, ভিসাটি প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে চালু হবে, এরপর ধীরে ধীরে পুরো অঞ্চলে কার্যকর করা হবে। নতুন এই ভিসা নীতি গালফ অঞ্চলের পর্যটন খাতকে আরো গতিশীল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরব আমিরাত
আমিরাতে ৬৬ কোটি টাকার লটারি জেতা প্রবাসী হারুন গড়ে তুলবেন নতুন ব্যবসা
আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি হারুন সরদার ও তার ৯ বন্ধু ২০ মিলিয়ন দিরহাম লটারি জিতে দেশটিতে সাড়া ফেলেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬৬ কোটি টাকার বেশি। দীর্ঘদিন ধরে ট্যাক্সি চালকের কাজ করা হারুন জানিয়েছেন, এই অর্থ দিয়ে তারা দুবাইয়েই ব্যবসা শুরু করতে চান। খালিজ টাইমস এ খবর দিয়েছে। হারুন সরদার ও তার ৯ বন্ধু খালিজ টাইমসকে জানিয়েছেন, তারা আরব আমিরাত ছেড়ে কখনোই যেতে চান না। কারণ আরব আমিরাত তাদের যা দিয়েছে, তা তাদের কল্পনার বাইরে। ১৬ বছর আমিরাতে থাকা হারুন বলেছেন, কঠোর পরিশ্রমের পর ভাগ্য ঘুরে যাওয়ায় তিনি এখন স্থায়ী আয় ও কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করছেন। তারা এই অর্থ বিনিয়োগ করে একটি যৌথ ব্যবসা গড়ে তুলতে চান, যাতে সবার জীবনে স্থিতি আসে। এ জয় শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও এক অনুপ্রেরণার গল্প।
কুয়েত
যত্রতত্র জিনিস ফেললে কঠোর ব্যবস্থা
কুয়েত মিউনিসিপ্যালিটি নাগরিক ও বাসিন্দাদের এই বলে সতর্ক করেছে যে, যত্রতত্র ময়লা ফেললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের সড়ক, পার্ক, উন্মুক্ত ভূমি, বাজার ও সমুদ্রতটে অযথা আবর্জনা ফেলার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করা হয়েছে। আরব টাইমস এ খবর দিয়েছে। মিউনিসিপ্যালিটির কর্মকর্তারা জানান, পরিচ্ছন্নতা আইন অমান্য করে আবর্জনা ফেলায় শহরের সৌন্দর্য ও মানুষের স্বাস্থ্য উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য জরিমানা বৃদ্ধি এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই হুঁশিয়ারি বার্তার বিষয়ে দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও সতর্ক থাকা জরুরি। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং নাগরিক ও বাসিন্দাদের মধ্যে দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি পাবে।
ওমান
ওমানে সাইবার জালিয়াতির সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ
ওমানে ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার। রয়েল ওমান পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ সময় জালিয়াতির হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তির অগ্রগতি, অনলাইন লেনদেনের বিস্তার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার এই বৃদ্ধির মূল কারণ। গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে।
ওমান পুলিশ আরো জানিয়েছে, প্রতারকরা এখন ভুয়া ই-কমার্স সাইট, নকল বিনিয়োগ অফার, এমনকি সরকারি কর্মকর্তার ছদ্মবেশে ভিডিও কলের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছ থেকে ব্যাংকের তথ্য এবং অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ, ব্যাংক, টেলিকম কোম্পানি ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে এবং জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্ক করে জানিয়েছে, কোনো সরকারি সংস্থা বা ব্যাংক কখনো ফোন বা অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য চায় না। ফলে কোনো গ্রাহকের এমন তথ্য চাইলে পুলিশকে জানাতে হবে। এ নিয়ে ওমান প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকা জরুরি, যাতে তাদের কষ্টের টাকা হারাতে না হয়।
সৌদি আরব
সৌদিতে নিয়মিত অভিযানে ১৮,৬৭৩ জন আটক, বহিষ্কার ১১,৫৪৪ জন
সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস ও কর্মরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে এক সপ্তাহে ১৮ হাজার ৬৭৩ জনকে আটক এবং ১১ হাজার ৫৪৪ জনকে বহিস্কার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সৌদি গেজেট এ খবর দিয়েছে। খবরে আরো বলা হয়েছে, আটককৃতদের বেশির ভাগই ইয়েমেন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক। যারা দেশটির সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে দেশটিতে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। সৌদিতে এমন অভিযান নিয়মিত চলছে। এই অভিযানে শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ৪ হাজার ১৭৮ জনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ প্রবেশ বা আশ্রয়-সহযোগিতায় জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। সৌদি আরবে থাকা বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিকে শ্রম আইন মেনে চলা ও অভিযানের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
logo-1-1740906910.png)