Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

জিসিসি দেশগুলোর একক ভিসা প্রকল্প

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫

জিসিসি দেশগুলোর একক ভিসা প্রকল্প

দুই বছর আগে প্রস্তাবিত এবং গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত জিসিসি ইউনিফায়েড ভিসা এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে। এই একক ভিসা ব্যবস্থায় বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে অবাধ যাতায়াত সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে সৌদি আরব।

এই ভিসা শুধু পর্যটন নয়, ব্যবসায়িক গতিশীলতাও বাড়াবে। তবে সৌদি আরবের ধর্মীয় পর্যটন, ভিশন ২০৩০-এর অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন এই ভিসার মাধ্যমে আরো জোরদার হবে।

ইসলামের দুই পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার কারণে সৌদি আরব প্রতি বছর লাখো হাজি ও ওমরাহ যাত্রীকে স্বাগত জানায়। ইউনিফায়েড ভিসা তাদের জন্য সৌদি আরবের অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ তৈরি করবে। আলউলা, নিওম, ও দিরিয়াহর মতো ঐতিহাসিক ও আধুনিক স্থাপনা এই ভিসার আওতায় আরো সহজে ঘোরা যাবে।

বিশেষজ্ঞ রেমন্ড খুরি বলেন, “রিয়াদ ও জেদ্দার মতো বড় বিমানবন্দরগুলো ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করতে পারে, যেখানে পর্যটকরা স্বল্প সময়ের জন্য আশপাশের স্থানে ঘুরে দেখতে পারবেন”। তিনি আরো বলেন, “জিসিসি রেলওয়ে ও কম খরচের বিমান সংযোগ এই ভিসাকে কার্যকর করতে সহায়ক হবে”।

সৌদি আরব ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ কোটি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্য নিয়েছে। সেঞ্চুরি ফাইন্যান্সিয়ালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভালেচা বলেন, “সৌদি আরবের বিশাল পর্যটন অবকাঠামো, ডিজিটাল ভিসা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ক্যালেন্ডার দেশটিকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে”।

এই ভিসা ব্যবসায়িক ভ্রমণেও গতি আনবে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর জন্য অঞ্চলজুড়ে সহজ যাতায়াত ও বাণিজ্যিক সংযোগ তৈরি হবে। প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনীতির মতো খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগ সহজ হবে।

ভালেচা বলেন, “সৌদি আরবের ভৌগোলিক অবস্থান, যা সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমান এবং লোহিত সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত, দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে”।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে সৌদি আরব ইতোমধ্যে বড় বিনিয়োগ করছে। কিং সালমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ কোটি যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য নিয়েছে। রিয়াদ এয়ারের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটও এ বছর চালু হচ্ছে।

এই ভিসা শুধু পর্যটন নয়, লজিস্টিকস, বিনোদন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক খাতে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।

তথ্যসূত্র: আরব নিউজ

Logo