
ইসরায়েলি হামলার পর কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত জরুরি ইসলামিক সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলো কাতারের প্রতি পূর্ণ সংহতি ও সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো একমত হয়েছে যে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাতারের পাশে থাকবে তারা।
সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেন, “এই হামলা শুধু কাতারের বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি গোটা মুসলিম বিশ্বের নিরাপত্তা ও মর্যাদার ওপর আঘাত”। তিনি আরো বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু আমাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।"
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় দোহায় হামাস নেতাদের অবস্থানরত একটি ভবনে পাঁচ হামাস সদস্য এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এই হামলার পর কাতার ঘটনাটিকে “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” হিসেবে অভিহিত করে।
সম্মেলনে সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। আমরা কাতারের পাশে আছি এবং ইসরায়েলের জবাবদিহি চাই।"
সম্মেলনে একটি খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জবাবদিহির দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সমন্বয় জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সম্মেলন শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, বরং মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও কূটনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কাতারের ওপর হামলার ঘটনায় মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
সম্মেলনের মাধ্যমে কাতার একটি শক্ত বার্তা দিয়েছে- শান্তি ও সংলাপের পথে থাকলেও জাতীয় নিরাপত্তা ও মর্যাদার প্রশ্নে তারা আপসহীন। মুসলিম বিশ্বও এই বার্তায় একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
তথ্যসূত্র: কাতার ট্রিবিউন