Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের দামামা

ছয় দেশে একযোগে ইসরায়েলের হামলা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২

ছয় দেশে একযোগে ইসরায়েলের হামলা

মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েল একযোগে হামলা চালিয়েছে ছয়টি দেশে। দেশগুলো হলো ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, কাতার ও ইয়েমেন। এই বিস্তৃত সামরিক অভিযান মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সোমবার থেকে অন্তত ১৫০ জন নিহত এবং ৫৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গাজা সিটির আবাসিক ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হামলায় বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৪০০ জনের বেশি মানুষ ক্ষুধায় মারা গেছেন।

লেবাননের বেকা ও হেরমেল জেলায় সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হন। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে তারা হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করেছে, তবে স্বাধীনভাবে তা যাচাই করা যায়নি। মঙ্গলবার আবারো বৈরুতের দক্ষিণে বারজা গ্রামে ড্রোন হামলা চালানো হয়, এতে একজন হিজবুল্লাহ সদস্য আহত হন।

সিরিয়ায় হোমস ও লাতাকিয়ার সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে “সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন” এবং “আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি” বলে অভিহিত করেছে।

তিউনিসিয়ার সিদি বু সাঈদ বন্দরে গাজা ফ্লোটিলার দুটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ‘ফ্যামিলি বোট’ ও ‘আলমা’ নামের দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে যাত্রীরা নিরাপদে ছিলেন।

কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে একজন ছিলেন হামাস নেতা খালিল আল-হাইয়ার পুত্র। এই হামলা কাতারে ইসরায়েলের প্রথম সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সবশেষে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সানা বিমানবন্দর লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এই ধারাবাহিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের পূর্বাভাস, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

Logo