মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে চন্দ্রগ্রহণ, বিশেষ নামাজ আদায়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০২
রোববার রাতে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে বিরল পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে, যা “ব্লাড মুন” নামে পরিচিত। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমানসহ বিভিন্ন দেশে এই মহাজাগতিক দৃশ্য পরিদর্শনের পাশাপাশি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে আদায় করা হয়েছে সালাতুল খুসুফ, যা চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ নামাজ।
সৌদি স্পেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, গ্রহণ শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিটে (KSA সময়), পূর্ণগ্রহণ শুরু হয় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে এবং এটি স্থায়ী হয় প্রায় ৮৩ মিনিট। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র এই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে আবুধাবির আল খাতিম অবজারভেটরি থেকে।
কুয়েতের আব্দুল্লাহ আল সালেম জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র ও কাতারের আল থুমামা অবজারভেটরি থেকেও গ্রহণ পর্যবেক্ষণের আয়োজন করা হয়। বাহরাইনের মানামা ও ওমানের মাসকাটে স্থানীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ক্লাবগুলো টেলিস্কোপ ও খোলা আকাশে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করে। এসব দেশে ধর্মীয় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মসজিদে সালাতুল খুসুফ আদায় করা হয়, যেখানে ইমামরা খুতবার মাধ্যমে আল্লাহর কুদরতের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
ইসলামি ঐতিহ্য অনুযায়ী, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সময় মুসলমানরা বিশেষ নামাজ আদায় করে, যা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত। এই ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর মহিমা উপলব্ধি করে এবং আত্মশুদ্ধির আহ্বান গ্রহণ করে।
এই চন্দ্রগ্রহণ শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, দেখা গেছে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অংশ থেকেও। বিজ্ঞানীরা জানান, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে অবস্থান করে এবং চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়, তখন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এই সময় চাঁদের স্বাভাবিক আলো লালাভ রঙে পরিণত হয়, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সূর্যালোকের কারণে ঘটে।
চন্দ্রগ্রহণের এই দৃশ্য ধর্মীয়, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ এই মহাজাগতিক দৃশ্যকে শুধু সৌন্দর্য নয়, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করে।
তথ্যসূত্র: আল অ্যারাবিয়া
logo-1-1740906910.png)