সৌদি আরবে প্রযুক্তি দক্ষতায় চাকরির নতুন দিগন্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭

সৌদি আরব প্রযুক্তি খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ঘটাচ্ছে। ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে দেশটি গড়ে তুলেছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল দক্ষতা ভাণ্ডার; ৩ লাখ ৮৯ হাজার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ নারী। এই বিপুল জনশক্তি শুধু প্রশাসনিক ডিজিটাল রূপান্তর নয়, বরং প্রযুক্তিভিত্তিক চাকরির বাজারেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
সৌদি ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অথরিটি (DGA) জানিয়েছে, ২০২২ সালে ৩.৫ বিলিয়ন ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৩% বেশি। এই প্রবৃদ্ধি প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল চাহিদা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডেটা অ্যানালিটিকস ও এআইভিত্তিক কাজের জন্য দক্ষ কর্মী প্রয়োজন।
সৌদি কমিউনিকেশন, স্পেস অ্যান্ড টেকনোলজি কমিশন (CST) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তারা ৩.৮ বিলিয়ন রিয়াল আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৭% বেশি। এই আয় বৃদ্ধির ফলে সরকার আরো প্রযুক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে, যা সরাসরি চাকরির সুযোগ বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তি-দক্ষ তরুণদের জন্য সৌদি আরবে এখনই সময়। দেশটি ফাইভ-জি, স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং ডিজিটাল অবকাঠামোতে বড় বিনিয়োগ করছে। ফলে বিদেশি প্রযুক্তিবিদদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ। বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্যও রয়েছে ভালো বেতনের চাকরি, বিশেষ করে যারা সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং বা আইটি সাপোর্টে দক্ষ।
নারীদের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে,২০২৪ সালের শেষে প্রযুক্তি খাতে নারীদের কাজের হার ৩৬% ছাড়িয়েছে। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা সৌদি আরবকে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের পথে এগিয়ে নিচ্ছে।
তবে চাকরি পেতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা, ইংরেজি যোগাযোগে সাবলীলতা এবং প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা। সৌদি সরকারের ‘নিতাকাত’ কর্মসূচি স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিলেও দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে।
সৌদি আরবের প্রযুক্তি খাতে এই অগ্রগতি শুধু চাকরি নয়, বরং একটি টেকসই ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।
তথ্যসূত্র: সৌদি গেজেট