
মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন একসময় ছিল বিশ্বের মুক্তা শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু। আজও সেই ঐতিহ্য বহন করে চলেছে দেশটি, তবে এবার আধুনিক পর্যটন ও বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে। দ্য টাইমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাহরাইনের মুক্তা শিল্পের ইতিহাস, বর্তমান পুনর্জাগরণ এবং জুমেইরাহ গালফ অব বাহরাইন রিসোর্টের ভূমিকা।
বাহরাইনের মুক্তা শিল্পের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। প্রাক-তেল যুগে এই মুক্তা ছিল দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। স্থানীয় ডুবুরিরা গভীর সমুদ্রে গিয়ে ঝিনুক সংগ্রহ করতেন, যা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিশ্রমসাধ্য কাজ। তবে সেই ঐতিহ্য আজও জীবন্ত, বিশেষ করে আল-দার দ্বীপ ও মুক্তা সংগ্রহের ঐতিহাসিক পথগুলোতে।
বাহরাইনের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত জুমেইরাহ গালফ অব বাহরাইন রিসোর্ট শুধু বিলাসবহুল আবাসন নয়, বরং এটি পর্যটকদের মুক্তা শিল্পের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। রিসোর্টে রয়েছে মুক্তা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা, ঐতিহ্যবাহী নৌকা ভ্রমণ এবং স্থানীয় কারুশিল্প প্রদর্শনী।
দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই রিসোর্ট বাহরাইনের সমুদ্রতটের সৌন্দর্য, ঐতিহ্য এবং আধুনিক বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ।” পর্যটকরা এখানে মুক্তা সংগ্রহের প্রক্রিয়া দেখতে পারেন, এমনকি নিজের হাতে ঝিনুক খুলে মুক্তা খুঁজে পাওয়ার সুযোগও পান।
বাহরাইন সরকার মুক্তা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং টেকসই পর্যটনকে উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তা সংগ্রহের লাইসেন্স, ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ।
তথ্যসূত্র: দ্য টাইমস