
দুবাইয়ের জনসংখ্যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪০ লাখে পৌঁছেছে, যা শহরটির দ্রুত নগরায়ন ও বৈশ্বিক আকর্ষণের প্রতিফলন। দুবাই ডেটা অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস এস্টাবলিশমেন্টের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১১ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল ২০ লাখ, ২০২৫ সালে তা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখে।
১৯৭৫ সালে মাত্র ১.৮৭ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা শহরটি আজ বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম অর্থনৈতিক ও আবাসিক কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে দুবাইয়ের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, বহুজাতিক কর্মসংস্থান এবং ধনী ও পেশাজীবীদের জন্য আকর্ষণীয় জীবনযাত্রা।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও গণপরিবহনের চাহিদা। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, নতুন আবাসিক এলাকা, মেট্রো ব্লু লাইন এবং রিটেইল প্রকল্পগুলো এই চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সেঞ্চুরি ফাইন্যান্সিয়ালের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার বিজয় ভ্যালেচা জানিয়েছেন, “জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পণ্যের চাহিদা বাড়বে, যা একদিকে সুযোগ তৈরি করবে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপও আনবে।” তিনি আরো বলেন, অনেক বাসিন্দা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন শপিং ও BNPL (Buy Now Pay Later) সেবার দিকে ঝুঁকছেন।
যদিও জনসংখ্যা বৃদ্ধি অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়ায়, তবু এর সঙ্গে আসে যানজট, আবাসন সংকট ও অবকাঠামোগত চাপ। অনেক বাসিন্দা কর্মস্থলের কাছাকাছি সাশ্রয়ী আবাসন খুঁজছেন, যা নগর পরিকল্পনায় নতুন দিক নির্দেশ করছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য দুবাইয়ের নমনীয় ভিসা নীতি জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করছে। প্রবাসী সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্য, আয়ভিত্তিক জীবনযাত্রা এবং গণপরিবহনের ওপর নির্ভরতা শহরটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দুবাইয়ের জনসংখ্যা যদি এই হারে বাড়তে থাকে, ২০৩২ সালে তা ৫০ লাখ এবং ২০৩৯ সালে ৬০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: মিনিট মিরর