Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

কুয়েতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে কারাদণ্ডের বদলে সমাজসেবা!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩

কুয়েতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে কারাদণ্ডের বদলে সমাজসেবা!

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ডের পরিবর্তে সমাজসেবা কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত সরকার। ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সরকারি গেজেট ‘কুয়েত টুডে’-তে প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

নতুন আইনের আওতায় বিচারক চাইলে নির্দিষ্ট ট্রাফিক অপরাধে দোষীদের কারাদণ্ড না দিয়ে সমাজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত করতে পারবেন। কুয়েতের আইন ব্যবস্থায় এটিকে ‘সভ্য ও আধুনিক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিকল্প শাস্তির আওতায় দোষীদের ১৬টি সরকারি সংস্থায় যুক্ত করা হবে। কাজের ধরন হবে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে।

উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো:

- পরিবেশ কর্তৃপক্ষ: উপকূল পরিষ্কার, বৃক্ষরোপণ, বর্জ্য অপসারণ

- পৌরসভা: কবরস্থান খনন, শহর পরিষ্কার

- ইসলামিক মন্ত্রণালয়: মসজিদ পরিষ্কার, ধর্মীয় কার্যক্রমে সহায়তা

- বিদ্যুৎ ও পানি মন্ত্রণালয়: স্মার্ট মিটার স্থাপন, তথ্য সংগ্রহ

- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়: অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ, সচেতনতা প্রচার

- শিক্ষা মন্ত্রণালয়: স্কুল পরিষ্কার, ছাত্র সচেতনতা

- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: সাহায্য বিতরণ, সমবায় কার্যক্রম

- জনশক্তি কর্তৃপক্ষ: প্রবাসী শ্রমিকদের সচেতনতা, অনুবাদ সহায়তা

- সড়ক কর্তৃপক্ষ: সড়ক পরিষ্কার, সাইনবোর্ড রক্ষণাবেক্ষণ

- তেল মন্ত্রণালয়: গ্যাস স্টেশনে কাজ

শুধু শারীরিক শ্রম নয়, বিকল্প শাস্তির অংশ হিসেবে থাকবে শিক্ষামূলক বক্তৃতা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং মানসিক-আচরণগত পুনর্বাসন। উদ্দেশ্য হলো ট্রাফিক নিয়মের গুরুত্ব বোঝানো এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন ড্রাইভিং আচরণ পরিবর্তন করা।

যদি অপরাধের ফলে কোনো সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দোষীকে তা মেরামত বা প্রতিস্থাপন করতে হবে। সম্ভব না হলে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ, যা নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

বিকল্প শাস্তি বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্বে থাকবে সাধারণ ট্রাফিক বিভাগ। দোষীরা শর্ত না মানলে তাদের বিরুদ্ধে মূল কারাদণ্ড কার্যকর করা হবে। সিদ্ধান্তটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের এক মাস পর থেকে কার্যকর হবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে কুয়েত সরকার ট্রাফিক অপরাধ মোকাবিলায় একটি মানবিক ও শিক্ষামূলক ধারা সূচনা করল, যা অপরাধীদের শুধু শাস্তি নয়, বরং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: কুয়েত টাইমস

Logo