সৌদি আরবে বিদেশি কর্মীদের জন্য পেনশন ও সঞ্চয় কর্মসূচি চালু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৭

সৌদি আরব সরকার প্রথমবারের মতো দেশটিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য একটি নতুন পেনশন ও সঞ্চয় কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে “পাবলিক পেনশন ওন্ড সেভিং প্রোগ্রাম”। এর মাধ্যমে বিদেশি কর্মীরা তাদের আয় স্থানীয়ভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করতে পারবেন, যা আগে শুধু সৌদি নাগরিকদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সর্বশেষ আর্টিকেল ফোর পর্যালোচনায় এই কর্মসূচির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমাতে এবং অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই সৌদি আরব থেকে বিদেশি কর্মীরা নিজ নিজ দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১৪৪.২ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকার সমান।
বর্তমানে সৌদি আরবের সামাজিক বীমা ব্যবস্থায় নিবন্ধিত কর্মীর সংখ্যা ১.২৮ কোটি, যার মধ্যে প্রায় ৭৭ শতাংশই বিদেশি। এতদিন তারা এই বীমা ও পেনশন সুবিধার বাইরে ছিলেন। নতুন কর্মসূচির আওতায় তারা স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি কর্মীরা শুধু আয় সঞ্চয়ই করতে পারবেন না, বরং তা স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগও করতে পারবেন, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে এটি সৌদি অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে এবং বিদেশে অর্থ পাচার কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে কর্মসূচির বিস্তারিত নিয়মাবলি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। কত শতাংশ আয় সঞ্চয় করতে হবে, কীভাবে টাকা উত্তোলন করা যাবে, নিয়োগকর্তার ভূমিকা কী হবে- এসব বিষয়ে সরকার শিগগিরই নির্দেশনা দেবে বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ সৌদি আরবে কর্মরত লক্ষ লক্ষ বিদেশি নাগরিকের জন্য একটি বড় সুযোগ। তারা চাইলে স্থানীয়ভাবে সঞ্চয় করে ভবিষ্যতের জন্য একটি নিরাপদ ভিত্তি গড়ে তুলতে পারবেন।
তথ্যসূত্র: গালফ ডেইলি নিউজ