
দুবাইয়ে অবৈধ পার্টিশন ও সাবলেটিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর পর অনেক বাড়িওয়ালা তাদের ফ্ল্যাটকে হোলিডে হোম বা সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্টে রূপান্তর করছেন। এতে একদিকে যেমন বাড়িওয়ালারা নিয়ন্ত্রণ ও আয় নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ী আবাসন সংকট আরো তীব্র হচ্ছে।
সম্প্রতি আল রিগা, আল মুরাক্কাবাত, আল সাতওয়া ও আল রাফফা এলাকায় অবৈধ পার্টিশনের কারণে বাড়িওয়ালাদের হাজার হাজার দিরহাম ক্ষতি হয়েছে। কেউ কেউ ৪৫ হাজার দিরহাম পর্যন্ত খরচ করেছেন অবৈধ কাঠামো সরাতে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই হোলিডে হোমে রূপান্তরকে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প হিসেবে দেখছেন।
বিএনবিমি হোলিডে হোমসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শিলপা ভি মাহতানি বলেন, “হোলিডে হোমে রূপান্তর মানে নিয়ন্ত্রণ, শান্তি এবং ভালো রক্ষণাবেক্ষণ। দীর্ঘমেয়াদি ভাড়াটিয়ারা সব সময় এই নিশ্চয়তা দিতে পারেন না।”
তবে এই পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের অভিবাসী শ্রমিকরা। তারা সাধারণত পার্টিশন করা ছোট ঘরে বা বাংক বেডে থাকেন, যার ভাড়া মাসে ২২০-২৭০ ডলার। কিন্তু এই অবৈধ আবাসন ব্যবস্থা এখন বন্ধ হওয়ায় অনেকেই গৃহহীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।
একজন মিসরীয় শ্রমিক হেশাম বলেন, “আমরা জানি না এখন কোথায় যাব। আমাদের আয় এত কম যে বৈধ ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া অসম্ভব।” দুবাইয়ে একটি এক বেডরুমের ফ্ল্যাটের গড় ভাড়া প্রায় ১,৪০০ ডলার, যা অধিকাংশ শ্রমিকের আয় দিয়ে সম্ভব নয়।
রিয়েল এস্টেট বিশ্লেষকরা বলছেন, হোলিডে হোমে রূপান্তর পর্যটন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত না হলে সামাজিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
সরকারের উচিত হোলিডে হোম নীতির পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও বৈধ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যাতে তারা মানবিক মর্যাদায় বসবাস করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: খালিজ টাইমস