
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ কর ফাঁকি প্রতিরোধে নতুন সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ক্রিমিনাল ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে কর ফাঁকির ভয়াবহতা ও জাতীয় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্যচিত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কর ফাঁকি কোনো “চাতুর্য” নয়, বরং এটি একটি অপরাধ, যা আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য। কর পরিশোধ করা শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এটি একটি সামাজিক দায়িত্ব, যা জাতীয় অর্থনীতি রক্ষা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
২০২২ সালের ফেডারেল ডিক্রি-আইন নম্বর (২৮)-এর ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কর পরিশোধে ব্যর্থ হন বা আয় গোপন করেন, তাহলে তাকে জেল অথবা জরিমানা, যার পরিমাণ ফাঁকিকৃত করের সমান থেকে তিন গুণ পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত করা হবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার কর সংক্রান্ত আইন মানার গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে।
সরকারের এই প্রচেষ্টা একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং নিরাপদ অর্থনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার অংশ। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।
তথ্যসূত্র: গালফ টুডে