
কুয়েতে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত এক নজিরবিহীন পদক্ষেপে প্রায় ৫০ হাজার জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিসরের জালিয়াতি বিরোধী অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কুয়েত সরকার জানিয়েছে বহু ব্যক্তি জাল নথি, ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। এসব চিহ্নিত করতে ডিএনএ ও বায়োমেট্রিক যাচাই ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কার্যকর হওয়া ডিক্রি ১১৬/২০২৪ অনুযায়ী, নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত করা হয়েছে।
এর আওতায়:
- জালিয়াতি বা মিথ্যা তথ্য প্রদান
- রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা সম্মানবিরোধী অপরাধ
- বিদেশি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক
- ধর্মীয় অবমাননা বা আমিরের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড
- ভুয়া বংশ পরিচয়
কুয়েতের সুপ্রিম কমিটি ফর ন্যাশনালিটি ইনভেস্টিগেশন প্রতিটি নাগরিকত্ব ফাইল খতিয়ে দেখছে। এমনকি সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফাইলও পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে। যারা আর্টিকেল ৮ অনুযায়ী স্বামীর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন, তাদের আগস্টের মধ্যে আইনি অবস্থান সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ না হলে নির্ধারিত অফিসে গিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
সরকার নতুন ইলেকট্রনিক নাগরিকত্ব কার্ড চালুর পরিকল্পনা করছে, যা নিরাপত্তা ও যাচাইকরণে সহায়ক হবে। এই পদক্ষেপে রাষ্ট্রীয় পরিচয় রক্ষার কথা বলা হলেও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এত বড় পরিসরে নাগরিকত্ব বাতিল রাষ্ট্রহীনতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ