
সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্স নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ নার্স নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়নে কাজ করবে বাংলাদেশের ইউনিক গ্রুপ।
১১ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত “সৌদি আরবের কর্মবাজারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে সৌদি উদ্যোক্তা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. খালিদ মোঘেম আলহারবি বলেন, “এই উদ্যোগ সৌদি স্বাস্থ্যসেবার মান অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশ যদি প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন নার্স ও কেয়ারগিভার সরবরাহ করতে পারে, তাহলে রেমিট্যান্স আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে”।
সেমিনারটি আয়োজন করে সদ্য গঠিত সৌদি-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিষয়ক সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিনসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা সৌদি-বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উজমা চৌধুরী, আদ-দ্বীন হাসপাতালের উপদেষ্টা ড. মো. আফিকুর রহমান এবং চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিবেদক রেজভী নেওয়াজ। তারা বাংলাদেশের নার্সিং শিক্ষাব্যবস্থা ও বেসরকারি খাতের ভূমিকা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে প্রবেশের জন্য নার্সিং পাঠক্রম আধুনিকায়ন জরুরি। বর্তমানে দেশে ১ লাখের বেশি প্রশিক্ষিত নার্স থাকলেও ৬০ হাজারের বেশি বেকার।
ড. আলহারবি বলেন, সৌদি মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিলে এদের অনেকেই সৌদি আরবে চাকরি পেতে পারেন।
তবে তিন বছর মেয়াদি নার্সিং ডিপ্লোমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান পাঠক্রম আন্তর্জাতিক মানের হলেও মধ্যপ্রাচ্যের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনের বিষয়ে সরকার সহযোগিতা করবে।
তথ্যসূত্র: দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস