
সৌদি আরবে ফ্রোজেন সবজি বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৪ সালে এই বাজারের আকার ছিল ৪১৬.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩৩ সালের মধ্যে ৬৫৯.৬২ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে গ্লোবাল নিউজওয়ারের বিশ্লেষণ।
এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে শহরায়ন, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত খাবার প্রস্তুতির চাহিদা। সৌদি নাগরিকদের ব্যস্ত জীবনযাত্রা ও নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ফলে ফ্রোজেন সবজির চাহিদা বেড়েছে। Individually Quick Freezing (IQF) প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব পণ্যের গুণগত মান ও সংরক্ষণক্ষমতা আরো উন্নত হয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করছে। সৌদি বাজারে ফ্রোজেন সবজির চাহিদা বাড়ায়, বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি করছে, তারা সৌদি আরবকে নতুন গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই খাতে উপকৃত হতে পারেন। সৌদিতে বসবাসরত বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা স্থানীয়ভাবে ফ্রোজেন সবজি সরবরাহ, বিপণন বা পরিবহন খাতে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়া, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও ক্যাটারিং সেক্টরে কর্মরত বাংলাদেশিরা এই পণ্যের ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করে চাকরির সুযোগ বাড়াতে পারেন।
তবে সৌদি বাজারে প্রবেশ করতে হলে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং, হালাল সনদ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে তারা সৌদি মান পূরণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে খাদ্য নিরাপত্তা ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে ফ্রোজেন সবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের জন্য এটি শুধু রপ্তানি নয়, বরং কর্মসংস্থান, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্র্যান্ড গঠনের একটি বড় সুযোগ।
তথ্যসূত্র: গ্লোবাল নিউজওয়ার