
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তন ও উদ্যোগ প্রবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে সৌদি আরবের নতুন আবাসন নীতিমালা ও ওমানের সালালাহ বিমানবন্দরের যাত্রী বৃদ্ধির খবর বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সৌদি সরকার সম্প্রতি শেয়ার্ড হাউজিংয়ের জন্য একটি নতুন কাঠামো চালু করেছে। এতে আবাসনকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং, রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স এবং মোবাইল ক্যাবিন। প্রতিটি শ্রেণিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাসিন্দা থাকতে পারবেন এবং পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে একজন সৌদি নাগরিকের হাতে। এই নীতিমালার ফলে প্রবাসীদের জন্য আবাসন খাতে বিনিয়োগ ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বাড়ছে।
ওমানের সালালাহ বিমানবন্দর জুন ২১ থেকে আগস্ট ৩ পর্যন্ত খারিফ মৌসুমে যাত্রী ও ফ্লাইট চলাচলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালে যাত্রী সংখ্যা ৫% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ১১০ জনে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় বেশি। এই প্রবণতা ওমানের পর্যটন খাতের উত্থান এবং প্রবাসীদের যাতায়াতের চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একাধিক সম্ভাবনা তৈরি করছে। সৌদি আরবে নতুন আবাসন নীতির ফলে যারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছেন, তারা এখন সম্পত্তি কেনার চিন্তা করতে পারেন। এতে ভাড়া নির্ভরতা কমবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, সালালাহ বিমানবন্দরের যাত্রী বৃদ্ধির ফলে ওমানের পর্যটন ও পরিবহন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়তে পারে, যেখানে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে পারেন।
মধ্যপ্রাচ্যের এই আপডেটগুলো শুধু খবর নয়, বরং বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সম্ভাবনার বার্তা। সঠিক তথ্য, প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো সম্ভব—হোক তা আবাসন, ব্যবসা বা কর্মসংস্থান।
তথ্যসূত্র: কার্লিটেইলস