সৌদি আরবের গুহাগুলো হতে পারে পরবর্তী পর্যটন বিস্ময়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৭

সৌদি আরবের বিস্তৃত মরুভূমির নিচে লুকিয়ে থাকা শত শত প্রাকৃতিক গুহা এখন পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা হিসেবে উঠে আসছে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে গঠিত এই ভূগর্ভস্থ গহ্বরগুলো শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং ইতিহাস, বিজ্ঞান ও পরিবেশগত বৈচিত্র্যের এক অনন্য ভাণ্ডার।
ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে সৌদি সরকার এই গুহাগুলোর পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আগ্রহী। স্থানীয় গবেষক ও অভিযাত্রী হাসান আল-রাশিদি জানান, ২০১৮ সালে গুহা অনুসন্ধানের ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। তিনি বলেন, “মানুষ আমাকে অজানা গুহা দেখাতে অনুরোধ করতে থাকে, তখনই বুঝি এটি শুধু ব্যক্তিগত আগ্রহ নয়, জাতীয় সম্পদ।”
মদিনার খাইবার গভর্নরেটের আবু আল-ওয়াউল গুহাকে তিনি সবচেয়ে বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেন। এটি সৌদি আরবে আবিষ্কৃত সবচেয়ে দীর্ঘ গুহা, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। আশপাশে রয়েছে আর গুহা- মাকের আল-শাইহিন, উম জেরসান, আবু জামাজেম ও আল-সিবা।
এই গুহাগুলোতে দেখা যায় চমৎকার স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট গঠন, যা দর্শনীয় ভিজ্যুয়াল তৈরি করে। গবেষকরা ভূগর্ভস্থ প্রাণী, শিলা স্তর ও ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস বিশ্লেষণে আগ্রহী। শিয়াল, হায়েনা ও নেকড়ের মতো প্রাণীও দিনের বেলায় গুহায় আশ্রয় নেয়, রাতে শিকার করে।
তবে গুহা অনুসন্ধানে রয়েছে ঝুঁকি- ভূমিধস, অক্সিজেন ঘাটতি, অন্ধকার ও দুর্গমতা। তাই প্রয়োজন হয় আধুনিক যন্ত্র, রশি, হেলমেট, আলো, খাবার ও জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম।
আল-রাশিদি বলেন, “গুহাগুলো শুধু পর্যটন নয়, গবেষণা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সম্ভাবনাময়। এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”
সৌদি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই গুহাগুলোকে পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত করা হবে।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ