কুয়েতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ১২টি নতুন আবাসন প্রকল্প

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৮

প্রবাসী শ্রমিকদের আবাসন সংকট মোকাবিলায় কুয়েত সরকার ১২টি নতুন আবাসন প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে একক পুরুষ শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও সুসংগঠিত আবাসন নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলো মূলত পরিবার-আবাসন এলাকাগুলোর বাইরে নির্ধারিত স্থানে গড়ে তোলা হবে, যাতে শহরের ভিড় কমানো যায় এবং সামাজিক ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। জেলিব আল-শুয়ুখের মতো অতিরিক্ত জনবহুল এলাকায় অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ‘ব্যাচেলর হাউস’ নিয়ে উদ্বেগের পর এই পরিকল্পনা সামনে আসে।
সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আবাসন প্রকল্পগুলো পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যসম্মত এবং সেবামূলক অবকাঠামোসহ একটি সমন্বিত নগর পরিকল্পনার অংশ। বর্তমানে সুবহান, আমঘারা, শাদাদিয়া ও আল-রাক্কা অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিকের জন্য ‘লেবার সিটি’ রয়েছে। নতুন পরিকল্পনায় আরো ছয়টি শ্রমিক শহর নির্মাণের মাধ্যমে ২.৭৫ লাখ শ্রমিককে আবাসনের আওতায় আনা হবে, যার মধ্যে চারটি জাহরা গভর্নরেটে এবং দুটি আহমাদি অঞ্চলে হবে।
সুবহানে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার বর্গমিটার জায়গায় ৩ হাজার শ্রমিকের জন্য একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আমঘারা ও আহমাদিতেও নির্মাণ চলছে। সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি পশ্চিম শুয়াইবা অঞ্চলে পাঁচটি স্থানে ৭ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে নির্মিত হচ্ছে, যেখানে ৫৬ হাজার শ্রমিকের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে।
শাদাদিয়া শ্রমিক শহরেও তিনটি নতুন কমপ্লেক্স যুক্ত করে মোট আয়তন ৪ লাখ ৫০ হাজার বর্গমিটারে উন্নীত করা হচ্ছে, যা ৪২ হাজার শ্রমিককে আবাসন দেবে।
প্রতিটি কমপ্লেক্সে থাকবে:
- ২০% আবাসিক ইউনিট
- ৫% বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
- ৫% স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরি সেবা
- ১২% সবুজ এলাকা
- ৫% অবকাঠামো
- ৩৬.৩% অভ্যন্তরীণ রিং রোড
- ১৬.৭% বাফার জোন (প্রাইভেসি রক্ষায়)
এই পরিকল্পনা শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ, সুসংগঠিত ও মানবিক আবাসন নিশ্চিত করতে কুয়েত সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: আরব টাইমস