
সৌদি আরবে এ বছর গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষে রেকর্ড পরিমাণ ফলন হয়েছে। দেশজুড়ে প্রায় ৬৩ হাজার টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে, যা স্থানীয় বাজারে চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অভিবাসী কৃষি শ্রমিকদের নিরলস পরিশ্রম, যারা প্রচণ্ড গরমেও মাঠে কাজ করে ফলন নিশ্চিত করেছেন।
তরমুজের চাষ মূলত আল-জাওফ, আল-কাসিম এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বেশি হয়। সৌদি কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ফলন শুধু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় ভোক্তাদের মধ্যে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে, ফলে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন এবং বাজারে সরবরাহও স্থিতিশীল রয়েছে।
এই ফলনের পেছনে অভিবাসী শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা মাঠে কাজ করে, সেচ, পরিচর্যা ও সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সৌদি আরবের কৃষি খাতের একটি বড় অংশই এই শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল, যারা দেশ-বিদেশ থেকে এসে কঠোর পরিশ্রম করে দেশের খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করছেন।
সরকার ভিশন ২০৩০ এর আওতায় কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে। এতে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও কাজের পরিবেশ উন্নত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ফলন শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং সামাজিক দিক থেকেও ইতিবাচক। অভিবাসী শ্রমিকদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি দেওয়া হলে তাদের জীবনমান উন্নত হবে এবং দেশের কৃষি খাত আরো শক্তিশালী হবে।
তরমুজের এই সফল মৌসুম সৌদি আরবের কৃষি খাতে একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা দিচ্ছে, যেখানে প্রযুক্তি, পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনার সমন্বয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
তথ্যসূত্র: সৌদি গেজেট