কুয়েত
কুয়েতে প্রতিবাদের জেরে ১২৭ বাংলাদেশিকে বহিষ্কার
কুয়েতে বেতন বঞ্চনার প্রতিবাদ করায় ১২৭ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীকে বহিষ্কার করেছে দেশটি। আরব টাইমস এই খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ৫ মাস বেতন না পাওয়া ১৩০ জন বাংলাদেশি কর্মী কুয়েতে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করে ৩০ জুলাই কুয়েত থেকে বিতাড়িত করা হয়। বিতাড়নের আগে কর্মীদের বাসস্থানে ফিরে গিয়ে নিজের জিনিসপত্র সংগ্রহ করতেও দেওয়া হয়নি। তাদের সরাসরি বিমানবন্দরে নিয়ে প্লেনে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনজন বাংলাদেশি এখনো বিচারাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সূত্র একটি কোম্পানিতে কর্মীদের বেতন না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। গত মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ওই কর্মীদের বেতন আটকে ছিল। কোম্পানি কিছু বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কর্মীরা হতাশ হয়ে দূতাবাস বা মানবসম্পদ কর্তৃপক্ষের পরিবর্তে সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। কুয়েত পুলিশ তাদের আটক করে। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত কর্তৃপক্ষ ও কোম্পানির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে; মালিক এক মাসের বেতন অবিলম্বে দিতে সম্মত হন এবং বাকি বকেয়া তিন কিস্তিতে পরিশোধের প্রস্তাব দেন, যা কর্মীরা প্রত্যাখ্যান করে। কুয়েতের আইনে কোনো প্রকার বিক্ষোভ বা অবরোধ করা বেআইনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
অনলাইন স্ক্যামারদের বিষয়ে দুবাইয়ে সতর্কতা
দুবাইয়ে অনলাইন স্ক্যামারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছেই। এই জালিয়াতি কেবল ট্রাফিক জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জালিয়াতির আওতা বাড়ছে নানা দিকে। খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভিসা নবায়ন, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, এমিরেটস আইডি পরিষেবা এবং অন্যান্য নাগরিক সেবা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও জালিয়াতির কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।
দুবাইতে ট্রাফিক জরিমানার উপর জাল ছাড় সম্পর্কিত একটি কেলেঙ্কারি উন্মোচিত হওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা বাসিন্দাদের সরকারি পরিষেবা সম্পর্কিত অফারগুলো, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রচারিত অফারগুলো সম্পর্কে সতর্ক করছেন।
বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন, অনেক অফারে শর্টকাট পথ বাতলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো আসলে একটা ফাঁদ। যেমন সম্প্রতি ট্রাফিক জরিমানা ৭০% ছাড়ের একটি অফার প্রচার করা হয়, তা ছিল একটা কেলেঙ্কারি। তাদের কৌশল ছিল চুরি করা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের জরিমানা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা। একবার সিস্টেমে অর্থ পরিশোধের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেলে স্ক্যামাররা তাদের ফি হিসেবে জরিমানার অর্ধেক নগদ দাবি করত, যা ভুক্তভোগীদের কাছে 'ছাড়' হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। বাসিন্দাদের যে কোনো পেমেন্ট বা আপডেটের জন্য শুধু ইউএই পাস, মন্ত্রণালয়ের অ্যাপস অথবা যাচাইকৃত ওয়েবসাইটের মতো অফিসিয়াল পোর্টালের উপর নির্ভর করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সৌদি আরব
সৌদি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি পারমিট জনপ্রিয়তার তুঙ্গে
সৌদি আরব বিশেষ ধরনের প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি পারমিট দিচ্ছে। অনেক বিদেশির কাছে তা জনপ্রিয়ও হচ্ছে। সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, ১৮ মাসে ৪০ হাজারেরও বেশি সৌদি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করেছেন। প্রিমিয়াম রেসিডেন্সির সুবিধাগুলো বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে এই রেসিডেন্সি ভিসা চালু হয়। সৌদি সরকার মনে করছে, এই ভিসার চাহিদা বাড়ছে ও দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধু ২০২৪ সালে ৮ হাজার ৭৪টি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি পারমিট জারি করা হয়েছিল। সৌদি সরকার ২০২৪ সালের প্রথম দিকে প্রিমিয়াম রেসিডেন্সির পরিধি দুটি থেকে সাতটিতে বাড়িয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, ব্যতিক্রমী যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিভা, ব্যবসায়িক বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, রিয়েল এস্টেট মালিক। যার লক্ষ্য হলো উচ্চ-মূল্যবান ব্যক্তিদের সৌদি আরবে বসবাস, কাজ ও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া, যার মধ্যে রয়েছে নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য স্থায়ী বা সময়-সীমিত আবাস, ভিসা ছাড়াই প্রবেশ ও প্রস্থানের স্বাধীনতা, প্রবাসী কর থেকে অব্যাহতি, বিনিয়োগ করার ক্ষমতা, সম্পত্তি এবং যানবাহনের মালিকানা, স্পন্সর ছাড়াই বেসরকারি খাতে কাজ করা, গৃহকর্মী নিয়োগ করা এবং পারিবারিক ভিজিট ভিসা প্রদান করা।
সৌদির এই ভিসা প্রোগ্রামটি বাসিন্দাদের মক্কা ও মদিনায় ৯৯ বছর পর্যন্ত সম্পত্তির ব্যবহারিক অধিকার পেতে এবং নাগরিক-নির্ধারিত বিমানবন্দর লেন ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।