কুয়েতে জনসমক্ষে ছুরি ও এয়ারগান বহনে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৯

কুয়েত সরকার ছুরি, চাপাতি, এয়ারগান ও অন্যান্য ধারালো বা ভোঁতা অস্ত্র জনসমক্ষে বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অস্ত্রের অপব্যবহার প্রতিরোধ।
সরকার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ছুরি ও এয়ারগান ব্যবহার করে হুমকি ও সহিংস ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই আইন সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয়। পূর্ববর্তী আইনে এসব অস্ত্রের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় আইনি ফাঁক তৈরি হয়েছিল।
নতুন আইনে জনসমক্ষে অস্ত্র বহনের জন্য নির্ধারিত নিষিদ্ধ এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- জনসমাগমস্থল ও খোলা জায়গা
- সরকারি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান
- বাজার ও গণপরিবহন
- উপাসনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য স্থান
এসব এলাকায় অস্ত্র বহনের বৈধ কারণ না থাকলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড ও ১ হাজার কুয়েতি দিনার জরিমানা হতে পারে। যদি কেউ জনসমক্ষে ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে ভয় দেখাতে অস্ত্র ব্যবহার করেন, তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এছাড়া অস্ত্র আমদানি, বিক্রি বা বিপণনে জড়িত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স নিতে হবে, না হলে ৫ হাজার দিনার পর্যন্ত জরিমানা ও কার্যক্রম স্থগিত করা হতে পারে। পুনরাবৃত্ত অপরাধে দ্বিগুণ শাস্তি এবং অস্ত্র জব্দ করার বিধানও রয়েছে।
তবে পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, ন্যাশনাল গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনের সময় এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
এই আইন সরকারি গেজেটে প্রকাশের তিন মাস পর কার্যকর হবে, যাতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম মেনে চলার প্রস্তুতি নিতে পারে। সংশোধিত আইনটি কুয়েতের নিরাপত্তা কাঠামোকে আধুনিক ও কার্যকর করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ