
প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুসলিম নাগরিকদের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিয়ে এখন আইনি বৈধতার আওতায় এসেছে। যদিও এটি একটি আধুনিক মাধ্যম, তবুও দেশের পার্সোনাল স্ট্যাটাস আইনের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলেই এ ধরনের বিয়ে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই আইনের অধীনে বিয়ে শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি আইনগত চুক্তি, যার জন্য আদালতে নিবন্ধন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এবং নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভিডিও কলে বিয়ে করতে চাইলে ইজাব-কবুল একই ভার্চুয়াল সেশনে সম্পন্ন করতে হবে এবং অবশ্যই দুই মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, তা ভার্চুয়াল হলেও চলবে।
তবে যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা ভিডিও কলের মাধ্যমে শরিয়াহ বিয়ের জন্য যোগ্য নন। একইভাবে, যদি কোনো ব্যক্তি বিদেশে বিয়ে করেন, তাহলে তা আমিরাতে আইনি স্বীকৃতি পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের আইনে বৈধতা, নিবন্ধন এবং আরবি অনুবাদসহ বিচার মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন লাগবে।
বিয়ের পর উভয় পক্ষ যদি আমিরাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তাহলে বৈধ বিয়ের ভিত্তিতে রেসিডেন্স ভিসার আবেদন করা যায়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে শুধু সরকারি হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য, যা বিয়ের ফরমালিটিসে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিয়েকে আরো প্রযুক্তিসম্মত, স্বচ্ছ এবং আইনি কাঠামোর ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুসলিম নাগরিকদের জন্য এটি যেমন সহজতর পদ্ধতি, তেমনই প্রবাসীদের জন্যও কার্যকর একটি বিকল্প পথ, যারা দূর দেশে থেকেও বৈধভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে চান।
তথ্যসূত্র: খালিজ টাইমস