Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

কুয়েতে নাগরিকত্ব নিয়ে নজিরবিহীন জালিয়াতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ০১:০৬

কুয়েতে নাগরিকত্ব নিয়ে নজিরবিহীন জালিয়াতি

কুয়েত সরকার এক নজিরবিহীন তদন্তে ১ হাজার ৬০ জনের বেশি ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাগরিকত্ব জালিয়াতির ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই তদন্ত পরিচালনা করেছে সুপ্রিম কমিটি ফর দি ইনভেস্টিগেশন অব কুয়েত ন্যাশনালিটি, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের জাল পরিচয়, ভুয়া পারিবারিক দাবি ও দ্বৈত নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখে। ২০০৮ সালের একটি পুরনো মামলায় দেখা যায়, ১৯৫৬ সালে জন্ম নেওয়া এক ব্যক্তি ভুয়া কুয়েতি পরিচয় গ্রহণ করেন, যদিও তিনি একটি উপসাগরীয় দেশের নাগরিক ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে স্বীকারোক্তি দিলেও রেকর্ডে থেকে যান এবং ৪৪ জন সন্তান ও ১২২ জন ডিপেনডেন্ট যুক্ত করেন। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, তাদের অনেকের সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক নেই, ফলে ব্যাপকভাবে নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।

আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ১৯৪০ সালে জন্ম নেওয়া এক মৃত ব্যক্তির নামে ৪৪০ জন অবৈধভাবে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, যাদের একটি সেশনে একযোগে বাতিল করা হয়। সর্বশেষ পর্বে চারটি বড় ফাইল থেকে প্রায় ৭০০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৬ জনের দ্বৈত উপসাগরীয় বা আরব নাগরিকত্ব ছিল, যা কুয়েতি আইন অনুযায়ী অবৈধ।

২০০০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়কাল ধরে চলা এই তদন্তে ডিএনএ বিশ্লেষণ, রেকর্ড অডিট ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবহার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব বাতিলকরণ যাচাইকৃত নথির ভিত্তিতে করা হয়েছে এবং কুয়েতি নাগরিকত্বকে “লাল রেখা” হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা ব্যক্তিগত স্বার্থে অপব্যবহার করা যাবে না।

এই অভিযান কুয়েতের জাতীয় পরিচয় রক্ষা, সরকারি সুবিধার অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং নাগরিকত্ব ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির অংশ। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আরো নাগরিকত্ব বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ

Logo