মধ্যপ্রাচ্যের নিউজ আপডেট ১৬ জুলাই ২০২৫
সৌদি আরবে মুদি দোকানে তামাক, সিগারেট বিক্রি বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৩

সৌদি আরব
মুদি দোকানে তামাক, সিগারেট বিক্রি বন্ধ
সৌদি আরব পৌরসভা ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে কিয়স্ক ও মুদি দোকানে বিড়ি, সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, সেসব মুদি দোকানের বেলায় এই নিয়ম কার্যকর হবে, যাদের আয়তন ২৪ বর্গমিটার। মন্ত্রণালয় তামাকজাত দ্রব্যের অনুমোদিত মানদণ্ড মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। আর বড় যেসব দোকানে সিগারেট বিক্রির অনুমতি থাকবে, তারাও কাস্টমারের দৃষ্টিসীমার কাছে তামাকজাতীয় পণ্য রাখতে পারবে না। সিগারেট বন্ধ ড্রয়ারে মজুত করে রাখতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী বা ধূমপানবিরোধী আইন দ্বারা নির্ধারিত যে কোনো ব্যক্তির কাছে এগুলো বিক্রি করা নিষিদ্ধ। বিক্রেতার ক্রেতাদের ১৮ বছর বয়সের প্রমাণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করার অধিকার রয়েছে। সৌদি সরকার বলছে, সংশোধনগুলোর লক্ষ্য জনস্বাস্থ্যের প্রচার, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করা, খাদ্যদ্রব্যের দৃশ্যমান বিকৃতি হ্রাস করা এবং ক্রেতাদের মসৃণ প্রবাহ নিশ্চিত করা।
কুয়েত
কুয়েতে ২৫টি গৃহকর্মী নিয়োগ সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২৫টি গৃহকর্মী নিয়োগ অফিসের কার্যক্রম স্থগিত করেছে কৃয়েত সরকার। গালফ নিউজ তাদের রিপোর্টে লিখেছে, কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার গৃহকর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে ৫৯৮টি অভিযোগ পেয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিয়োগ অফিসগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল সংস্থাটি। এমন অভিযানের মূল লক্ষ্য গৃহকর্মী নিয়োগ বাজার নিয়ন্ত্রণ, সংস্থাগুলোর তদারকি কঠোর করা এবং নিয়োগকর্তা এবং গৃহকর্মী উভয়ের অধিকার রক্ষার জন্য কুয়েতের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরা। কর্মকর্তারা বলছেন, যে আইন লঙ্ঘন লক্ষ্য করে আইন প্রয়োগকারী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের অভিযোগ, কাগজপত্রের অনিয়ম এবং অসঙ্গত শ্রম অনুশীলনে জর্জরিত এই খাতের প্রতি আরো বেশি জবাবদিহি আনা হবে।
ইয়েমেন
নিমিশা প্রিয়ার ভাগ্য এখনো ঝুলছে!
ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত ভারতীয় এক নার্স নিমিশা প্রিয়ার ভাগ্য এখনো ঝুলছে। সৌদি গেজেট তাদের খবরে লিখেছে, ইয়েমেনি যে নাগরিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে নিমিশার বিরুদ্ধে তার ভাই আসামির যে কোনো প্রকার ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আসামির মৃত্যুদণ্ডের ওপর জোর দিয়েছেন। তার ভাই আবদেল ফাতেহ মাহদি ১৪ জুলাই বিবিসি আরবিকে বলেছেন, পরিবার 'কিসাস' বা শরিয়াহ আইনের অধীনে প্রতিশোধের দাবিতে অবিচল রয়েছে। মৃত তালাল.. নিমিশাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বা তার পাসপোর্ট আটকে রেখেছেন এমন অভিযোগ খারিজ করে আবদেল ফাতেহ ভারতীয় মিডিয়ার সমালোচনা করে নানা অভিযোগ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "যতই গুরুতর হোক না কেন, কোনো বিতর্কই হত্যাকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। এদিকে ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি, এ.পি. আবুবকর মুসলিয়ার ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে মধ্যস্থতা করার জন্য বিশিষ্ট ইয়েমেনি শেখদের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র: সৌদি গেজেট