সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে বিদেশি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রতারণামূলক চাকরির প্রস্তাবের সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি একজন ভারতীয় নাগরিক দুবাইয়ে একটি অ্যাকাউন্টিং চাকরির প্রস্তাব পান, যা পরে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। নিয়োগপত্রে থাকা কোম্পানির নাম ও ঠিকানা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, সেটি কোনো বৈধ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নয়।
এই ঘটনার পর ইউএইর শ্রম মন্ত্রণালয় (MoHRE) এবং আইনি বিশেষজ্ঞরা চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।
চাকরির প্রস্তাব যাচাইয়ে করণীয়:
- MoHRE-এর ওয়েবসাইটে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স যাচাই করা।
- চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার আগে কোম্পানির নাম, ট্রেড লাইসেন্স নম্বর ও ঠিকানা যাচাই করা।
- ভিসা ও কাজের অনুমতি সংক্রান্ত তথ্য MoHRE বা ইউএই দূতাবাসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।
ইউএই শ্রম আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- ফিক্সড-টার্ম চুক্তি বাধ্যতামূলক, যার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
- প্রবেশন পিরিয়ডে চাকরি ছাড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের নোটিশ প্রয়োজন: চাকরি ছাড়তে চাইলে ১ মাস, আর কোম্পানি বরখাস্ত করলে ১৪ দিনের নোটিশ দিতে হয়।
- ভুয়া চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করলে আইনি জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি ইউএইতে কাজের উদ্দেশে যান। এই ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সরকারি অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যবহার করা এবং চাকরির চুক্তি যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউএইর শ্রম আইন এখন আরো স্বচ্ছ ও কর্মীবান্ধব। তাই চাকরিপ্রার্থীদের উচিত আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চুক্তির প্রতিটি ধারা ভালোভাবে বোঝা।
তথ্যসূত্র: খালিজ টাইমস
logo-1-1740906910.png)