মধ্যপ্রাচ্যের নিউজ আপডেট ১৩ জুলাই ২০২৫
আমিরাতের প্রবাসীরা আপাতত রেমিট্যান্স ফি বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে মুক্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৬

সৌদি আরব
সৌদি আরবে সৃষ্টি হবে বিপুল চাকরি
সৌদি আরবে ২০২৫ সালে ১৫ লাখেরও বেশি নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের সুযোগ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি যে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তাতে এটি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের অংশ। নতুন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে মূলত স্বাস্থ্য, নির্মাণ, পর্যটন, প্রযুক্তি ও পরিবহন খাতে। নতুন পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, সৌদির জনসংখ্যা ৩ কোটি ৫৩ লাখ। যার মধ্যে বিদেশি নাগরিক ১ কোটি ৫৭ লাখ। আর বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৩২ লাখ, যা দেশটিতে সবচেয়ে বড় প্রবাসী জনগোষ্ঠী। ফলে দেশটিতে সামগ্রিকভাবে চাকরির সুযোগ তৈরি হলে, সুযোগ তৈরি হয় বাংলাদেশিদের জন্য। এখন বলা হচ্ছে, নির্মাণ, পরিষেবা ও পরিবহন খাতে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ বাড়ছে সৌদিতে। দক্ষতা ও ভাষাগত প্রস্তুতি থাকলে উচ্চ বেতন ও স্থায়ী কাজের সম্ভাবনা আছে। বিএমইটি ও ডব্লিউইডব্লিউবির মাধ্যমে সরকারি চ্যানেলে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। তথ্যসূত্র: আরব নিউজ
সংযুক্ত আরব আমিরাত
আমিরাতে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ফি আপাতত বাড়ছে না
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা আপাতত রেমিট্যান্স ফি বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে মুক্ত। ২০২৪ সালের মে মাসে সর্বশেষ ১৫% ফি বাড়ানো হয়েছিল। তবে এখন ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো বলছে, আরো ফি বাড়ালে গ্রাহক হারানোর ঝুঁকি রয়েছে, তাই তারা ফি স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্যে টাকা পাঠাতে নতুন কোনো ফি বাড়ছে না। এমনকি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রে শূন্য ফি বা কম ফিতে টাকা পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে। Emirates NBD-এর DirectRemit সার্ভিস এই ছয়টি দেশে বিনামূল্যে টাকা পাঠানোর সুবিধা বজায় রাখবে বলে জানিয়েছে।গড় রেমিট্যান্স ফি বাংলাদেশ: ১৭ দিরহাম। ২০২৫ সালের শুরুতে ডলারের মান কমে যাওয়ায় অনেক এশীয় প্রবাসী রেমিট্যান্সের প্রকৃত মূল্য কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। ফি স্থির থাকায় এখন পরিবারের হাতে আরো বেশি টাকা পৌঁছাবে।
ইয়েমেন
ইয়েমেনে এক নারীর আসন্ন ফাঁসিকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে
ইয়েমেনে এক ভারতীয় নারীর ফাঁসি কার্যকরের সময় এগিয়ে আসায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গালফ নিউজ লিখেছে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নিমিশা প্রিয়া বর্তমানে ইয়েমেনের কারাগারে। ১৬ জুলাই তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়েছে যাচ্ছে নিমিশার পরিবার। ইয়েমেনে ইসলামি শরিয়াহ আইনের একটি ধারা যেমন রক্তের বিনিময়ে টাকা দিলে অভিযুক্তকে ক্ষমা করা যেতে পারে- এই সুযোগটি নিতে চাইছে নিমিশার পরিবার। ২০১৭ সালে ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মাহদি, যাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল নিমিশাকে। কিন্তু নিমিশা জানায়, ইয়েমেনি নাগরিক নিমিশাকে আটকে রেখে নির্যাতন করতেন। এরপর নিমিশার ওপর সহানুভূতি তৈরি হয়। নিমিশাকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে ভারতের আদালত আর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম বলছে, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: গালফ নিউজ