সৌদি আরবে ক্লিনার ও লোডার পেশায় দক্ষতার পরীক্ষার নামে ভোগান্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২

সৌদি আরবের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য চালু হওয়া Skill Verification Program (SVP) নিয়ে শুরুতে আশাবাদী মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান। তিনি বলেছিলেন, এই উদ্যোগের ফলে দক্ষ কর্মী পাঠানো সহজ হবে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেশন চালু হলেও কর্মীদের বেতন বাড়েনি, এমন অভিযোগ উঠেছে খাত সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)-এর সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, “এই সার্টিফিকেট দিয়ে আমাদের কর্মীদের কী লাভ হলো? একদিকে তাদের ফি দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে বেতন কি বেড়েছে?” তিনি আরো বলেন, “সরকারের উচিত ছিল সৌদির সঙ্গে এমওইউ করার আগে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) চাওয়া। সেটা না করেই আমরা প্রসেসে ঢুকে পড়েছি, কিন্তু কোনো বাস্তব সুবিধা পাচ্ছি না।”
বর্তমানে সৌদি আরবে ক্লিনার ও নির্মাণশ্রমিকদের মাসিক আয় ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, যা SVP চালুর আগেও ছিল একই রকম। অথচ SVP সার্টিফিকেশন পেতে একজন কর্মীকে ৫০ ডলার ফি, অনলাইন পরীক্ষা ও পাঁচ বছরের মেয়াদি সনদ নিতে হচ্ছে।
বিএমইটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সৌদি সরকারকে পুশ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যেহেতু কর্মীরা পাস করেই যাচ্ছেন, এখন আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।” তবে তিনি স্বীকার করেন, ক্লিনার ও লোডিং-আনলোডিং কাজের জন্য সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করায় ভিসা জটিলতা ও শ্রমবাজার সংকোচনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার ভিসা আবেদন সৌদি দূতাবাসে আটকে আছে, যার বড় অংশই স্বল্পদক্ষ শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহ ও অভিবাসন নীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড