
ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার তেহরান থেকে যেসব লোক দেশে ফিরতে চান, তাদের সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তেহরান থেকে প্রথমে এসব লোককে স্থলপথে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে নেওয়া হতে পারে। তারপর পাকিস্তান থেকে আকাশপথে ফেরানো হতে পারে বাংলাদেশে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির মধ্যে ১০০ জনের মতো দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
১৮ জুন দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যে ১০০ জন বাংলাদেশি যোগাযোগ করেছিলেন, তারা তেহরান থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরে গেছেন। তাদের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি। এছাড়া ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকসহ দূতাবাসের ৪০ জনও নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে এখন ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন অবস্থান করছিলেন রাজধানী তেহরানে। এখন পর্যন্ত ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কেউ হতাহত হননি।
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি চলমান সংঘাতের কারণে সে দেশে টাকা পাঠানোর জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম জানান, এই মুহূর্তে ইরানের সীমান্তবর্তী কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর সে দেশে কার্যক্রম চালু আছে, বাংলাদেশের এমন একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের মাধ্যমে লোকজনকে নিরাপদে সরানো ও দেশে ফেরানোর জন্য বাড়তি তহবিলের বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে।
এই মুহূর্তে ইরানের রাজধানীতে যে ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন বলে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাদের মত। সে ক্ষেত্রে প্রায় ২০০ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
এদিকে তেহরান থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র ১৮ জুন সকালে জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী মোটামুটি খালি হতে শুরু করেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস লোকজনকে দেশে ফেরানো এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পুরোদমে চালু থাকবে। বাংলাদেশের যেসব লোক তেহরান ছাড়তে চান এবং দেশে ফিরতে চান তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে। এ পরিস্থিতিতে তেহরানের পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত বা অন্য কোথাও গিয়ে কাজ চালানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে এখন ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন অবস্থান করছিলেন রাজধানী তেহরানে। এখন পর্যন্ত ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কেউ হতাহত হননি।
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো