পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ায় ১১ জুন থেকে উঠে গেছে মক্কায় প্রবেশে আরোপ করা সব বিধিনিষেধ। এর আগে লাখো হজযাত্রী যেন নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন, সেজন্য মক্কায় হজযাত্রী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া ১১ জুন থেকে ফের শুরু হয়েছে ওমরাহ ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া। হজের মৌসুমে ওমরাহর ভিসাও স্থগিত করে দেয়া হয়েছিল।

হজ মৌসুমের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৯ এপ্রিল থেকে মক্কায় বৈধ হজ পারমিট বা শহরে কাজ বা বসবাসের জন্য প্রবেশ অনুমতি ছাড়া কোনো দর্শনার্থীকে আতিথেয়তা দেয়া সব হোটেল ও আবাসন প্রতিষ্ঠানের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

চলতি মাসের ৪ তারিখ (বুধবার) শুরু হয়েছিল এই বছর পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরাফাতের দিন। এদিন হজযাত্রীরা মক্কার আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছিলেন। এরপর কোরবানি, প্রতীকী শয়তানকে নুড়ি পাথর নিক্ষেপ ও বিদায় তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হজ। যেসব হজযাত্রী আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন, তারা হজ সম্পন্ন করেই নিজ দেশে ফিরে আসছেন। আর যারা দেরিতে গিয়েছেলেন, তারা এখন আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর খালিজ টাইমসের।

এ বছর পবিত্র হজ পালন করেছেন ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ মুসল্লি। যাদের মধ্যে অধিকাংশ- ১৫ লাখ ৬ হাজার ৫৭৬ জন- ছিলেন বিদেশি। সৌদির নাগরিক এবং প্রবাসীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৪ জন। 

হজ শেষে অনেকে আবার ছুটছেন পবিত্র নগরী মদিনায়। সেখানে তারা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা পরিদর্শন করবেন। অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ পড়েন। অনেকে আবার নিজেদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন উপহার সামগ্রী কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তথ্যসূত্র:খালিজ টাইমস ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর