Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

ইরানে হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়া কী?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১১:২২

ইরানে হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়া কী?

১৩ জুন ২০২৫ মধ্যরাতে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ডের (IRGC) প্রধান হোসেইন সালামি এবং পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।

ইরান এই হামলাকে "যুদ্ধ ঘোষণার" সমতুল্য বলে অভিহিত করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। প্রতিরোধ হিসেবে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ১০০টি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার বেশির ভাগই প্রতিহত হয়েছে ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়।

মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়া:

গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (GCC) সদস্য দেশগুলো ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে এই আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। লেবানন একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। যদিও এর প্রতিবাদ করেনি বাহরাইন।

ইরানের প্রতিক্রিয়া:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইসরায়েলকে "বিপর্যস্ত" করার হুমকি দিয়েছেন। ইরানের বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠী, যেমন হিজবুল্লাহ ও হুথি, ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেতা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে এবং ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Logo