২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৪১ লাখ নার্সের ঘাটতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার ৭০ শতাংশ ঘাটতি আফ্রিকা ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলেই বেশি হবে। 

আন্তর্জাতিক নার্স দিবসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় (MoHAP) এবং এমিরেটস হেলথ সার্ভিসেস (EHS) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সহযোগিতায় 'State of the World’s Nursing 2025' (SoWN) রিপোর্ট এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। 

প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ: 

বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা: বিশ্বের ৭৮ শতাংশ নার্স মাত্র ৪৯ শতাংশ জনসংখ্যাকে সেবা প্রদান করছে, যা ধনী ও দরিদ্র দেশের মধ্যে নার্সিং সেবার ক্ষেত্রে দশ গুণ পার্থক্য তৈরি করেছে।

নিয়ন্ত্রক কাঠামো: ৯২ শতাংশ দেশ নার্সিং পেশার জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তুলেছে, এবং ৬২ শতাংশ দেশ উন্নত নার্সিং ভূমিকা তৈরি করেছে, যা সেবা প্রদানের দক্ষতা বৃদ্ধি ও অবহেলিত অঞ্চলে সেবার প্রসার ঘটিয়েছে।

নীতিনির্ধারকদের জন্য সুপারিশ:

- নিয়োগ প্রসারিত করা: নার্সিং পেশায় নতুন নিয়োগ বৃদ্ধি করা।

- প্রমাণভিত্তিক রক্ষণনীতি: নার্সদের ধরে রাখার জন্য কার্যকর নীতি প্রণয়ন।

- উচ্চমানের শিক্ষা: শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষক সংকট মোকাবিলা।

- কর্মপরিবেশ উন্নয়ন: কর্মপরিবেশের মানোন্নয়ন ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা।

- নেতৃত্বে নার্সদের অন্তর্ভুক্তি: স্বাস্থ্যসেবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নার্সদের অন্তর্ভুক্ত করা।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নার্সিংয়ে বিনিয়োগ শুধু স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে না, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে। এছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার পেশাটিকে আধুনিকায়ন করতে সাহায্য করবে, যা ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এই রিপোর্টের আঞ্চলিক উদ্বোধনের মাধ্যমে নার্সিং পেশার উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। 'National Strategy for Nursing and Midwifery 2022–2026' এর মাধ্যমে দেশটি নার্সিং পেশার উন্নয়নে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যা স্বাস্থ্যসেবা খাতে তাদের অগ্রগতির প্রতিফলন।

এই রিপোর্টটি বিশ্বজুড়ে নার্সিং পেশার বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে।

তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ