Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

৭ বছর ধরে বন্ধ বাহরাইনের শ্রমবাজার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০৯:২৬

৭ বছর ধরে বন্ধ বাহরাইনের শ্রমবাজার

মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীপ দেশ বাহরাইনে প্রায় ৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশিদের নতুন ভিসা দেওয়া। ফলে কর্মসংকটে রয়েছেন প্রবাসীরা। সরকার ও কূটনৈতিক মহলে বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও কার্যকর সমাধান এখনো মেলেনি। পারস্য উপসাগরের তীরের এ দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। 

তবে ২০১৮ সালের পর থেকে নতুন ওয়ার্ক, ভিজিট ও ফ্যামিলি ভিসা কার্যত বন্ধ রয়েছে।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাহরাইনের রাজ পরিবারের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি উদ্যোগ নিলে চালু হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রমবাজার।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট বাহরাইনের মোহাররক এলাকায় সিদা মসজিদের বাংলাদেশি মুয়াজ্জিন কামাল উদ্দিন বাহরাইনি ইমাম আবদুল জলিল হামদকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।

এ ঘটনার পর বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। ফলে এই মুয়াজ্জিনের অপরাধে আর বাহরাইনে যেতে পারছেন না হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাহরাইন অনেক বড় সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার। রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকেও সেরা ১০-এর মধ্যে দেশটি রয়েছে। সিন্ডিকেটহীন এই শ্রমবাজারটি পুনরায় খুললে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তারা। 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিমত, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাহরাইন সরকারের ঘনিষ্ঠ। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দ্য মেডেল অব দ্য ফার্স্ট অর্ডার অব মেরিট’ পেয়েছেন। তিনি বাহরাইন সফরে এ পর্যন্ত তিনবার এসেছেন এবং বাহরাইনের রাজপরিবারের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। ইউনূসের মধ্যস্থতায় নতুন আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে তিন লাখ ১৩ হাজার ৬১০ জন শ্রমিক বাহরাইনে যান। এর মধ্যে নারী শ্রমিক ছিলেন তিন হাজার ১৭২ জন। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে দেশটিতে শ্রমিক যাওয়া একেবারে শূণ্যের কোটায় নেমেছে। ২০২৩ সালে মাত্র ১ জন দেশটিতে গেছেন আর ২০২৪ সালে একজনও যাননি। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য পুনরায় ভিসা খুললে আগামী বছরগুলোতে বিভিন্ন খাতে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হলে শ্রমবাজারটি দ্রুতই চালু হতে পারে। 

তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ

Logo